মালদা,১৬ অক্টোবর : বৃহস্পতিবার রাতে সামসী-আলাল ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কের শ্রীপুর মিলনপল্লী লাগোয়া এলাকায় অটো-বাইক মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজনের মৃত্যু হল। গুরুতর জখম হয়েছেন একজন। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
সামসী গ্রামীণ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত চারজনের মধ্যে দুজন মহিলা, একজন যুবক ও একজন কিশোর। মৃত দুই মহিলার নাম তাসলিমা বিবি (৩০) এবং শুবরি বিবি (৫৫)। মৃত কিশোরের নাম শেখ আসলাম (১২)। তাঁদের মধ্যে শুবরি বিবি ও শেখ আসলাম এর বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর জিপির গাংনদীয়া গ্রামে ও তসলিমা বিবির বাড়ি রসিদাবাদ জিপির বিরুয়া গ্রামে। মৃত শেখ আসলাম অটোচালক শেখ ইসলামের ছোটো ছেলে ও তসলিমা বিবি তার শালিকা হয়।মৃত যুবকের নাম মোজাম্মেল হক (২১)। তাঁর বাড়ি সামসীর ভগবানপুর গ্রামে। জখম ব্যক্তির নাম রিজু মণ্ডল (২৪)। তিনি সামসীর ভগবানপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন সুশান্তের মৃত্যুর তদন্ত এখনও চলছে: সিবিআই
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের গাংনদীয়া গ্রামের ৮ জন বাসিন্দা স্থানীয় বাসিন্দা শেখ ইসলামের অটোতে করে পান্ডুয়ার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। অপরদিকে একটি বাইকে দুজন শ্রীপুরের দিক থেকে সামসী অভিমুখে আসছিলেন। ৮১ জাতীয় সড়কের উপর শ্রীপুর মিলনপল্লী লাগোয়া এলাকায় অটো-বাইক মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।বাইকটি ছিটকে পড়ে। বাইক চালক ঘটনাস্থলেই মারা যান। বাইক আরোহী রিজু মণ্ডলও সংজ্ঞাহীন।
এদিকে, যাত্রীসহ অটোটিও পালটি খায়। অটোর দুই যাত্রী তাসলিমা বিবি ও শুকরি বিবি ঘটনাস্থলেই মারা যায়।১২ বছর বয়সী আরেক অটোযাত্রী আসলাম শেখও মালদা যাওয়ার পথে মারা যান। ঘটনার পর স্থানীয়রা এসে তাঁদের সামসী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। জখম বাইক আরোহী রিজু মণ্ডলের অবস্থা সংকটজনক। তাঁকে চিকিৎসার জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের গাংনদীয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত অটোযাত্রী শেখ আসলামের বাবা শেখ ইসলাম পুত্র শোকে শোকাহত। তিনি বলেন, আমরা পান্ডুয়া পীর বাবার মাজারে যাচ্ছিলাম। মানত ছিল। কিন্তু এভাবে দুর্ঘটনা ঘটবে ভাবতেই পারছি না। পুলিশ অটো ও বাইকটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে।আজ সন্ধ্যার সময় মৃত্যু দেহগুলি নিয়ে আসা হবে বলে খবর।
মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে মহম্মদ নাজিম আক্তার এর রিপোর্ট
আরও পড়ুন ক্যামেলিয়া বুটিক ও ঝর্ণাস ক্রিয়েশন নিয়ে এল পুজোর ফ্যাশন
গাংনদীয়া ও বিরুয়া গ্রামের তিন নিহত পরিবারের বিবরণ
মৃত গৃহবধূ সুবরি বিবি(৫৫)
স্বামীর নাম সৈয়দ আলি
দুই ছেলে( ১) ইনতেহার আলি(২৫) স্ত্রী: নাজেরা খাতুন
(৪ বছরের এক শিশু কল্যা রয়েছে ফারহানা আজমিন সুলতানা)
২)সেখ রব্বানি (২৩)স্ত্রী: সুমি খাতুন
তাদের কোনো সন্তান নেই
অভাবের পরিবার। দুই ছেলের বিয়ে হয়ে গেছে।বড়ো ছেলে ইনতেহার আলি আলাদা সংসার করছে।
স্বামী সৈয়দ আলী ও দুই ছেলে দিনমজুর করে সংসার চালায়। শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টা নাগাদ নিজ গ্রাম গাংনদীয়া থেকে গ্রামেরই এক অটোতে করে পান্ডুয়া পীরের মাজারে মানত করতে যাওয়ার পথে বাইক এর সঙ্গে অটোর মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে মারা যান বলে খবর।
গাংনদীয়া অটোচালকের পরিবারের বিবরণ
অটো চালক সেখ ইসলাম ছেলে সেখ আসলাম (১২),শালিকা তসলিমা বিবি ও গ্রামের এক বাসিন্দা সুবরি বিবি সহ মোট আটজন অটোতে চেপে পান্ডুয়া যাওয়ার পথে মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে।
দূর্ঘটনায় তার ছেলে সেখ আসলাম(১২)ও শালিকা তসলিমা বিবিও মারা যায়।
তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
১)সেখ আরবাজ (১৫)বড়ো ছেলে
২) মৃত সেখ আসলাম (১২)
৩) মেয়ে আসমিনা খাতুন (১৮)
স্ত্রী: বুধিয়া বিবি
অভাবের সংসার।নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। অটো চালিয়ে সংসার চালায়। ছেলের মৃত্যুতে শোকাহত পরিবার।
বিরুয়া গ্রামের মৃত তসলিমা বিবির পরিবারের বিবরণ
মৃত তসলিমা বিবি আফসার হোসেনে দ্বীতিয় স্ত্রী
প্রথম পক্ষের স্ত্রীর দুই মেয়ে রয়েছে। দ্বীতিয় পক্ষের স্ত্রীর এক ছেলে রয়েছে।স্বামী দিনমজুর করে সংসার চালায়।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post