তন্ময় প্রামানিক : করোনা আক্রান্ত সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ ক্রমাগত বাড়ছে। অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্য ও তাঁর চিকিৎসার তথ্য এসেছে Zee 24 ঘন্টার হাতে।
মেডিকেল টিমের কেস সামারি অনুযায়ী, করোনার প্রভাব বাড়ছে তাঁর শরীরে। চিকিৎসার পরিভাষায় এই মুহূর্তে ‘একিউট কনফিউশনাল স্টেট’-এ রয়েছেন অভিনেতা। কোভিড রিলেটেড এনসেফেলোপ্যাথিতে এবং মেটাবলিক এনসেফেলোপ্যাথিতে সমস্যা বাড়াচ্ছে। ইউরিনাল ট্র্যাকে ইনফেকশন ধরা পড়েছে। মডারেট কোভিড লাং ইনফেকশন রয়েছে বর্ষীয়ান অভিনেতার। PSA- বেড়েছে।
তবে অভিনেতার শারীরিক অবস্থা যাতে হাতের বাইরে না যায় তার জন্য মরিয়া চিকিৎসকেরা। আগাম ট্রিটমেন্টের পরিকল্পনাও তৈরি করে ফেলেছেন। যেগুলি হল…
১. স্নায়ু বিশেষজ্ঞেরা মরিয়া হয়ে খুঁজছেন, এনসেফেলোপ্যাথির সঠিক উৎস কী। সেটা জানলে অতি দ্রুত মস্তিষ্কের প্রদাহের (অস্থিরতা) চিকিৎসা শুরু করা যাবে। তাহলে ধীরে ধীরে যে উদ্বেগজনক শারীরিক পরিস্থিতি তৈরী হচ্ছে তা সামলানো যাবে।
২. শরীরে একাধিক সংক্রমণ শুরু হয়েছে। সেকেন্ডারি ইনফেকশন আটকাতে ওষুধের প্রয়োগ স্থির করা।
৩. Covid র পুরো মাত্রায় প্রোটোকল অনুযায়ী চিকিৎসা করা।
৪. রক্তচাপ এবং হার্ট রেট কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া
৫. “ইনভেসিভ এয়ার ওয়ে প্রোটেকশন” এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। চিকিৎসকদের ধারণা (আশঙ্কা) যে কোনো সময় এটার প্রয়োজন হতে পারে।
প্রসঙ্গত, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্য সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ দের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, তাঁর জ্বর আসছে ১০১ ডিগ্রি ফারেনহাইটের মধ্যে। ইকোলাই ইনফেকশন রয়েছে। শারীরিক অস্থিরতাও রয়েছে। মাঝে মধ্যে উত্তেজনায় অনিয়ন্ত্রিত ভাবে হাত-পা ছুড়ছেন। লিভারে সামান্য সমস্যা দেখা যাচ্ছে।
অভিনেতা কে কী কী ওষুধ দেওয়া হচ্ছে, সেবিষয়ে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রেমডেসিভির, স্টেরয়েড, অ্যান্টিকোয়াগুলেশন, অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিপ্লেটলেট(লো ডোজ), ইলেক্ট্রোলাইট করেকশন। রবিবার অভিনেতার দ্বিতীয়বার প্লাজমা থেরাপি হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post