নিউজ ডেস্ক : দুষ্কৃতীর গুলিতে খুন হতে হল বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের ঘনিষ্ঠমণীশ শুক্লাকে। রবিবার সন্ধ্যায় চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে টিটাগড় থানার সামনে। ওই রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। এদিকে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। এলাকায় মোতায়েন করা হয় পুলিশ। কে বা কারা ভরসন্ধ্যায় এভাবে থানার সামনে গুলি চালিয়ে তাঁকে খুন করল তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
সূত্রের খবর, মণীশবাবু একজন আইনজীবীও ছিলেন। এদিন সন্ধ্যায় থানার সামনে গাড়ি থেকে নামতেই কিছু দুষ্কৃতী আচমকাই তাঁর ওপর চড়াও হয়। তাঁকে লক্ষ্য করে একদম সামনে থেকে ৫-৬ টি গুলি চালায়। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কয়েকমাস আগেই মণীশ শুক্লা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।
বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা পরিকল্পনামাফিক হত্যা চালিয়েছে। মণীশ শুক্ল খুনের ঘটনায় বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় সরাসরি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর পুলিশের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। বিজয়বর্গীয় দাবি করেছেন, “টিটাগর থানার সামনে গুলি করে আমাদের নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। এর আগে বারে বারে ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তিনি ও তাঁর সঙ্গীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন।” এই ঘটনার পিছনেও পুলিশের ভূমিকা দেখছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি বিজেপি নেতা খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি করেছেন।অন্যদিকে, শাসক শিবির অভিযোগ করেছে, বিজেপির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বারাকপুরে গণ্ডগোল চলছিল, সেই ঝামেলাতেই তিনি আক্রান্ত হয়েছেন বলে দাবি।
Discussion about this post