ফাইল ছবি
কলকাতা: আজ, বৃহস্পতিবার ফের তলব করা হল কয়লা-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালাকে। তাঁর সঙ্গী গুরুপদককেও তলব করা হয়েছে। দুজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে বলে মনে কপরা হচ্ছে।
অবৈধ কয়লা পাচারের ব্যবসায় একইসঙ্গে টাকা খাটাতেন এই দুজন। তাই কীভাবে কোন পথে সেই টাকা খাটানো হত, সেটাই জানার চেষ্টা করবে সিবিআই। গুরুপদ মাজিকে এর আগে বুধবারও তলব করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয়বারের জন্য ডাকা হয়েছে তাঁকে। সূত্রের খবর, লালার সঙ্গে গুরুপদর টাকাও খাটানো হত লালার ব্যবসায়। তাই এই জিজ্ঞাসাবাদ।
কোন কোন পথে কয়লা পাচারের কালো টাকা সাদা করা হত, কোন ব্যবসায় খাটানো হত সেই টাকা, দুই পার্টনারে ব্যবসায় তৃতীয় কোনও টাকা খাটানো হত কিনা, তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে আজও গ্রেফতার করা যাবে না লালাকে। ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত তাঁর রক্ষাকবচ থাকবে বলে জানা গিয়েছে।
এর আগে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত রক্ষাকবচ ছিল লালার। সেই অনুযায়ী গ্রেফতারের প্রস্তুতি নিচ্ছিল সিবিআই। কিন্তু ৬ তারিখ ফের নতুন করে স্বস্তি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। রক্ষাকবচ বাড়িয়ে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে। ফলে, আপাতত তাঁকে গ্রেফতার করতে পারবে না সিবিআই।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম-রক্ষাকবচ মিলতেই ফের ‘কালো হীরক রাজা’ লালাকে তলব সিবিআইয়ের
গত বছরের শেষের দিকে থেকে কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্তে মামলা দায়ের করে সিবিআই। এরপর থেকেই রাজ্যের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারীরা। এরপরই এই অনুপ মাজি ওরফে লালার কথা জানতে পারেন গোয়েন্দারা। জানা যায়, কয়লা পাচার করেই হাজার কোটির মালিক হয়েছেন তিনি। পুরুলিয়ার নিতুড়িয়ার বাসিন্দা লালা বাড়ি ও অফিসে হানা দিয়েও কোনও লাভ হয়নি প্রথমে। পরে সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ পাওয়ার পরই সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন লালা।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post