ফাইল চিত্র
মুর্শিদাবাদ: সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর, এই দুই বিধানসভা কেন্দ্রের সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীর করোনায় মৃত্যুর কারণে নির্বাচন পিছিয়ে যায়। সোমবার কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ১৩ মে ওই দুই কেন্দ্রে হবে ভোটগ্রহণ। আর এই ঘোষণার পরেই কার্যত ক্ষোভে ফুঁসছেন দুই বিধানসভা এলাকার সংখ্যালঘুরা। কারণ, ওই নির্বাচনের দিনই রয়েছে ঈদ। তাই ভোট পিছনোর দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমশনের দ্বারস্থ হল ইমামদের সংগঠন।
সোমবার কমিশন এই দুই কেন্দ্রে ভোট ঘোষণার পরেই চিঠি লিখেছে বেঙ্গল ইমামস অ্যাসোসিয়েশন। তাতে তাঁদের দাবি, সামশেরগঞ্জে কংগ্রেস প্রার্থীর মৃত্যু ও অন্য দিকে জঙ্গিপুরের আর এস পি প্রার্থী মৃত্যুতে দুই কেন্দ্রে স্থগিত হয়েছিল নির্বাচন প্রক্রিয়া। নতুন দিন হিসেবে নির্বাচন কমিশন জানায় ১৩ মে সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে নির্বাচন হবে। কিন্তু এই দিনে ঈদ উৎসব হতে পারে। তাতেই আপত্তি জানিয়েছেন তাঁরা।
ভোটের দিন নিয়ে সন্তুষ্ট নন সামশেরগঞ্জের আপামর জনতাও। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই এলাকায় ঈদের দিন ভোট নিয়ে সমাজের সর্বস্তরের মধ্যে তৈরি হয়েছে অসন্তোষ। জনগণের একাংশ বলছে, ১৩ অথবা ১৪ মে ঈদ। ভোটের দিন ঠিক করার আগে সেদিকে দেওয়া উচিত ছিল কমিশনের। দাবি উঠেছে, জনগণের কথা বিবেচনা করে ভোটের দিন পরিবর্তন করা হোক। ভোটের দিন এগিয়ে আনা হোক কিংবা পিছিয়ে দেওয়া হোক। ইমামদের সংগঠনের তরফে চিঠিতে লেখা হয়েছে, দেশের সমস্ত নাগরিকের ধর্ম পালনের অধিকার দিয়েছে সংবিধান। তার পরেও কমিশনের ঈদের দিনে ভোট ঘোষণাকে অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি বলে মানতে পারছে না তারা।
বেঙ্গল ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মহম্মদ ইয়াহিয়া এই চিঠির প্রতিলিপি পাঠিয়েছেন সমস্ত রাজনৈতিক দলকেও। ঈদের তিন দিন পর যে কোনও দিন নির্বাচন করার আবেদন করেছেন ইমামরা।
আরও পড়ুন: কর্মীদের করোনা উপসর্গ, হোম আইসোলেশনে অধীর চৌধুরী
উল্লেখ্য, ২৬ এপ্রিল সপ্তম দফায় সামশেরগঞ্জে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ১৫ এপ্রিল ওই কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হক কোভিডে প্রাণ হারান। প্রার্থীর মৃত্যুতে নিয়ম মেনে বাতিল করতে হয় সামশেরগঞ্জ কেন্দ্রের নির্বাচন। পাশাপাশি জঙ্গিপুরে ২৬ এপ্রিল ভোট বাতিল হয় সেই কেন্দ্রের সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী তথা আরএসপি-র লোকাল কমিটির সম্পাদক প্রদীপ নন্দীর মৃত্যুতে।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post