নিজস্ব চিত্র
কলকাতা: “নির্ধারিত সময়ের বাইরে যদি কোনও বহিরাগত নন্দীগ্রামে ধরা পড়ে, তবে তাঁদের ধরে জেলে পুরে দিন।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।
ভোটের মধ্যে তৃণমূল সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ নিয়ে বুধবার ফের কমিশনের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। তবে এ বারের নালিশকে আলাদা মাত্রা দিতে খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানও যান কমিশনে। তাঁর সঙ্গে বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়াও গিয়েছিলেন। রাজ্যের বিজেপি নেতা তথাগত রায়ও গিয়েছিলেন কমিশনে। সেখানে গিয়ে তাঁরা দাবি করেন, নন্দীগ্রামের ওসিকে যেন কমপক্ষে আগামী ৩৬ ঘণ্টার জন্য নির্বাচন পরিচালনার থেকে দূরে রাখা হয়।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আরও অভিযোগ, হলদি নদীর ওপার থেকে কোটি কোটি টাকা এবং অন্যান্য সন্দেহজনক জিনিসও পাচার হচ্ছে নন্দীগ্রামে। ডায়মন্ড হারবার এবং ফলতা থেকে এগুলি পাচার হয়ে নন্দীগ্রামে ঢুকছিল বলে দাবি করা হয়। যাতে এই ধরনের পাচার ভোটের মুখে বন্ধ করা যায় তা নিশ্চিত করতে হলদি নদীর উপর ফেরি যাতায়াতও বন্ধ করার আবেদন জানিয়েছে বিজেপি।
আরও পড়ুন: রাত পোহালেই ভোট, নন্দীগ্রামে জারি হল ১৪৪ ধারা
এই পাশাপাশি ফের একবার তৃণমূল সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। ধর্মেন্দ্র এ দিন দাবি করেন, “মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে উত্তেজনা ছড়ানোর মতো কথা বলছেন। গণতন্ত্রের জন্য এটা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়।” অন্যদিকে, তৃণমূলের বহিরাগত ইস্যুতে পালটা তোপ দেগে তিনি বলেন, “দেশের সংবিধান সকলকে সব জায়গায় যাওয়ার অধিকার দেয়। দিদি পুরীতে গেলে কি তাঁকে বহিরাগত বলা হবে? তাঁর এই কথায় অবিলম্বে বাঁধ দেওয়ার উচিত নির্বাচন কমিশনের। সাংবিধানিক পদে থেকে এমন কথা বলা যায় না।”
আরও পড়ুন: ঘিরে ধরছেন মহিলারা! শুভেন্দুর নিরাপত্তায় এবার মহিলা সিআরপিএফ জওয়ান

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post