দোল উদযাপনে মদন মিত্র।
কলকাতা: ‘প্রমোদতরী’তে রঙিন বসন্তযাপন তৃণমূল নেতা মদন মিত্রের (Madan Mitra)। সঙ্গে বিজেপির তিন তারকাপ্রার্থী পায়েল সরকার, তনুশ্রী চক্রবর্তী ও শ্রাবন্তী। রবিবার সকালে গঙ্গাবক্ষে এভাবেই রঙের উৎসব উদযাপনে দেখা গেল ‘মদনগোপাল’ মিত্রকে। ‘মদনদা’র জনপ্রিয় গানের বোল ‘ওহ লাভলি’তে তুমুল উচ্ছ্বাস পায়েল, তনুশ্রীদের। রাজনীতির রংকে দূরে ঠেলে এ এক অন্য রঙের সকাল দক্ষিণেশ্বরের গঙ্গাবক্ষে।
মদন মিত্র এমনিতেই ‘রঙিন’ মানুষ। বয়সকে তাচ্ছিল্য করে তাঁর প্রেজেন্স মাথা ঘুরিয়ে দেয় বহু মানুষের। টলিপাড়াতেও মদন মিত্রের আলাদা গ্রহণযোগ্যতা। ইদানিং রাজনীতির রঙে ভাগাভাগি হয়েছে সে পাড়ায়। তবে মদন মিত্রের ক্ষেত্রে যে সেসব কোনও ব্যাপারই নয়, তা এদিন ভালই বোঝা গেল। মদন মিত্রের সঙ্গে এদিন অবশ্য ছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য, অভিনেত্রী শ্রীতমাও।
আরও পড়ুন: সকাল থেকেই রাজনৈতিক দলগুলির রঙিন ভোট প্রচার
আসলে দোল মানে সবার রঙে রঙ মেশানোর দিন। এদিন এসব দলাদলি চলেও না। মদন মিত্র নিজেও তেমনটাই বিশ্বাস করেন। তাই মদন মিত্রের কাছে যখন টিভি নাইন বাংলা জানতে চাইল দল এ নিয়ে প্রশ্ন করলে কী করবেন, মদনের স্পষ্ট জবাব, “উত্তর দেব। আমাকে ডেকেছিল একটা এজেন্সি। দক্ষিণেশ্বরের ঘাটে অনুষ্ঠান করছে। আমি গিয়েছিলাম। দেবাংশু গিয়েছিল। ওখানে দোলের দিন গান তো হবেই। গান হল, নাচ হল, দোল খেলা হল। এটাই তো পশ্চিমবঙ্গের মানুষের হওয়া উচিৎ। রাজনীতি রাজনীতির জায়গায়। দোল, দোলের জায়গায়।” মদন মিত্রের এমন রঙিন চেহারা দেখে ধার করতে হয় রবীন্দ্রনাথকেই, ‘সুখে আছে যারা, সুখে থাক তারা। সুখের বসন্ত সুখে হোক সারা।’

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post