সুরশ্রী রায় চৌধুরী: বিধানসভা নির্বাচনে হেরেছেন রবিবার 2 রা মে, তবে সেই নির্বাচনের ফলকে গুরুত্ব না দিয়ে করোনা মোকাবিলায় বিপন্ন, আক্রান্ত মানুষদের পাশে বিপদের বন্ধু হয়ে দাঁড়িয়েছে এসএফআই অথবা ডিওয়াইএফআই-এর কর্মী সদস্যরা। এদের পরিচয়- ‘রেড ভলান্টিয়ারস’ (Red Volunteers)। করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময়েও রেড ভলান্টিয়ারস মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। তবে অক্সিজেন বা ওষুধের জোগান ছিল না সেই সময়। ভ্যানে করে খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল যা শ্রমজীবী ক্যান্টিনে রূপান্তরিত হয়েছিল। বাড়িতে বাড়িতে মাস্ক পৌঁছে দেওয়া, খাবারের ব্যবস্থা করে দেওয়া এবং স্যানিটাইজার তৈরি করে মানুষকে সাহায্য করতে চেয়েছিল। এই বছর ও ঠিক একই ভাবে নিজেদের জীবন এক প্রকার বাজি রেখেই রেড ভলান্টিয়াররা কাজ করেচলেছেন। করোনা (Corona) আক্রান্তের কাছে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়া থেকে শুরু করে ওষুধ কিনে দেওয়া, অথবা যে বাড়িতে সবাই আক্রান্ত তাঁদের খাবারের ব্যবস্থা করে দেওয়া, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সব ব্যাবস্থাই করছে রেড ভলান্টিয়াররা।
আরো পড়ুন PUBG প্রেমীদের জন্য সুখবর ফিরছে নাম বদল করে
এমনকি কিছু এলাকা নিজেরা স্যানিটাইজ পর্যন্ত করছেন তাঁরা। আর এই সাহসটা তাঁদের আদর্শেরই অংশ। বলছেন বাম যুবনেত্রী দীপ্সিতা ধর (Dipshita Dhar)। তাঁর কথায়, “এই সাহসটা আদর্শ থেকে আসে। যারা ২০১১ সাল থেকে তৃণমূল ও বিজেপির বিপরীতে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করছে তারা নিজেদের ভালো থাকার থেকেও প্রত্যেকে সমষ্টিগত ভাবে কী ভাবে ভালো থাকতে পারে সেদিকটাই দেখে।”
আরো পড়ুন ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে কথা বললেন এমপি গৌতম কুমার দুষ্মন্ত
গোটা বাংলায় এলাকাভিত্তিতে কাজ করছেন রেড ভলান্টিয়ার্স। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ইতিমধ্য়ে ওয়ার্ড বিশেষে রেড ভলান্টিয়ারদের ফোন নম্বর মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। দীপ্সিতা বলছেন, “পুরো কাজটাই স্থানীয় ভাবে হচ্ছে। কোনও কেন্দ্র গড়ে ওঠেনি। প্রত্যেকটি এলাকায় যেমন আগের বার কোভিডের সময়ে রেড ভলান্টিয়াররা তৈরি হয়েছিল, সেভাবেই কাজ হচ্ছে। নির্বাচনের পর বিধানসভা কেন্দ্রের হিসেবে কো-অর্ডিনেশন তৈরি করেছি। যেমন বালিতে দুটি এলাকা রয়েছে। একটি বালি-বেলুড়, অন্যটি লিলুয়া।”
আরো পড়ুন PK কী এবার তৃনমূলে যোগ দেবেন ?
রেড ভলান্টিয়ার সোশ্যাল মিডিয়াতেও হাসপাতাল ও অক্সিজেনের যোগাযোগ নম্বর ভেরিফাই করার কাজ করছেন। শুভঙ্কর বলছেন, “অক্সিজেনের সাপ্লায়ার ও প্রোভাইডারদের ডেটা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এক একটি এলাকায় রেড ভলান্টিয়ারদের মধ্যে ৫-৬ জনের কাজই হল প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় অন্তর অক্সিজেনের লিডে ফোন করে নম্বর ভেরিফাই করা এবং দেখা এরা সত্যিই অক্সিজেন সরবরাহ করে কি না। অনেক সময় দেখা যাচ্ছে ৫০-৬০টি নম্বরের মধ্যে ১৮-২০ টা নম্বর ভেরিফায়েড হচ্ছে।” শুধু অক্সিজেনের জোগান নয়। ডোর টু ডোর RT-PCR টেস্টও দায়িত্ব নিয়ে করাচ্ছেন তাঁরা। এক্ষেত্রেও ডেটা সংগ্রহ করে ভেরিফাই করতে হচ্ছে।
মাস্ক, স্যানিটাইজার ও অর্থ দিয়েও সাহায্য করেছেন অনেকে। তবে প্রতিকূলতার মুখেও পড়তে হচ্ছে রেড ভলান্টিয়ারদের। বিভিন্ন জায়গায় তাঁদের আক্রান্ত হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post