সুরশ্রী রায় চৌধুরী: করোনাভাইরাসের আতঙ্কে কাঁপছে গোটা বিশ্ব। এদিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি ওলি। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৭৬ জন জওয়ানও সংক্রমিত হয়েছেন। করোনা আক্রান্তের পরেই প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ফাঁকা করে স্যানিটাইজ করা শুরু হয়েছে।
নেপালে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে শত শত বছরের ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও উৎসবে ও কাটছাঁট করছে সেদেশের সরকার।মার্চ মাস থেকে নেপালে লকডাউনের কারণে মন্দিরগুলো বন্ধ ছিল। এক জায়গায় বহু লোকের সমাবেশও নিষিদ্ধ ছিল।
রাজধানী কাঠমান্ডুতে বিভিন্ন দেবদেবীর সম্মানে বিপুল পরিমাণ লোকজন নিয়ে রথযাত্রা হয়ে থাকে। এগুলো বাতিল করা হয়েছে কোথাও কোথাও ছোট আকারে অনুষ্ঠান করা হয়েছে
কৃষির দেবতার সম্মানে একটি রথযাত্রা হয় – যার নাম রাতো মাছিন্দ্রনাথ যাত্রা । অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে নেপালে দুটি বড় ধর্মীয় উৎসব রয়েছে – যার একটি হলো দাশাইন এবং অপরটি তিহার।
নেপালে হিন্দু দেবী দুর্গার অবতার হিসেবে একটি কুমারী মেয়েকে পূজা করা হয় এবং তাতে হিন্দু ও বৌদ্ধ উভয়ে ধর্মের লোকেরাই অংশ নেয়।
এই ‘জীবন্ত দেবী’কে এখন কুমারী ঘর নামে একটি বাড়িতে রাখা হয়েছে। তিনি মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করছেন এবং তার সাথে অন্য কাউকে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না, – জানান তার কেয়ারটেকার গৌতম শাক্য।
কাঠমান্ডু শহরের প্যালেস স্কোয়ারে একটি বিশেষ মন্দিরে তিনি বাস করছেন। তিনি জানান, তিনি করোনাভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকার নিয়মকানুন মেনে চলছেন। উৎসবের মরসুমে পর্যটকদের ভিড় ও থাকে নেপাল। আস্তে আস্তে পরিস্তিতি বদলাতে শুরু করেছিল তারই মধ্যেই নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি ওলি করোনা আক্রন্ত হওয়ায় চাপের মুখে নেপাল প্রশাসন।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post