প্রতীকী ছবি
সুরশ্রী রায় চৌধুরী: করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় পর তথ্য সামনে এসেছিল বাদুড় থেকেই এই ভাইরাস ছড়াচ্ছে । ক্রমাগত বন উজাড়ের কারণে বাদুড়ের বাসা নষ্ট হয়েছে। সেখান থেকে অজানা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। আর তাই হাজার হাজার বাদুরকে নিধন করা হয়েছে। পরে বাদুড় থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর তথ্য ভুল প্রমাণিত হয়েছে। এর পর তথ্য সামনে আসে মিংক থেকে ভাইরাস ছড়াচ্ছে। এই কারণেই স্পেনে ৯৩ হাজার মিংক হত্যা করা হয়েছে।
গত ৫ মে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, যেসব প্রাণীর মধ্যে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম মিংক। এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার সপ্তাহখানেক আগেই নেদারল্যান্ডসের দুটি পশমের খামারে কয়েকটি মিংক করোনাভাইরাস টেস্টে পজিটিভ হয়। এরপরই স্পেনের অ্যারাগন অঞ্চলের সরকার ৯৩ টি মিংক হত্যার ঘোষণা করে দেয়। তবে মিংক এর থেকেই যে ভাইরাস ছড়াচ্ছে তা পুরোপুরি প্রমাণ পাওয়া যায় নি। কিন্তু আরাগান অঞ্চলের প্রশাসন কোনও কথা শোনেনি।
অ্যারাগন কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, মানুষ থেকে প্রাণীর দেহে ভাইরাসটির সংক্রমণ ঘটেছে কিনা তার কোনো প্রমাণ মেলেনি। তবে নেহাত সতর্কতা হিসেবেই প্রাণীগুলোকে হত্যা করা হয়েছে।
এবার হত্যা করা হবে ৫ লক্ষ হাঙরকে! এবারের যুক্তি
বেশির ভাগ টিকাতে প্রয়োজন ‘অ্যাজুভ্যান্ট’। এটি একটি ফার্মাকোলজিক্যাল এজেন্ট, যা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে সক্ষম। আর এই উপাদানটি পাওয়া যায় হাঙর মাছের লিভারে। তবে বিজ্ঞানীদের হাঙর নিধনের তথ্য নিয়ে টিকা তৈরির কাজে সবুজ সংকেত দিতে রাজি নয় বহু সংগঠন।
হাঙর ছাড়াও আরও বেশ কিছু প্রাণীর লিভারে পাওয়া যায় এই তেলটি। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে হাঙরের লিভার তেকে তেল নেওয়া হয়ে থাকে। জানা যাচ্ছে, শুধু আমেরিকার বাসিন্দাদের মারতে প্রয়োজন ২১ হাজার হাঙর। সেখানে গোটা বিশ্বের মানুষকে বাঁচাতে কত হাঙের প্রাণ নিয়ে নিতে হবে তার অঙ্ক কষা যাচ্ছে না। তার চেয়ে গাছ থেকেও পাওয়া যায় ‘স্কুইলিন অয়েল’। গাছ থেকেও সেই তেল জোগাড় করার ভাবনা চিন্তা করতে পারে বিজ্ঞানীরা, পরামর্শ সামুদ্রিক প্রাণী রক্ষাকারী সংগঠনদের।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post