
লকডাউন পর্ব শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও অব্দি কর্মহীন প্রায় সাতশো পচাত্তর টি পরিবারের পাশে তাদের মাসিক খাদ্যসামগ্রী তথা সেই সকল বাচ্চাদের বিদ্যাসামগ্রী, পুষ্টি সামগ্রী এবং সেই সকল দরিদ্র পরিবারের মহিলাদের হাতে ন্যাপকিন তুলে দিয়ে চলেছে স্বাতী ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন। মাত্র একবছর হয়েছে কাজ শুরু হয়েছে তাদের। সারাবছরই কাজ চলে। এর পাশাপাশি তাদের কাজ চলে। বিরতি বলে কিছুই নেই তাদের। প্রতিদিন স্টেশন নিবাসী প্রায় একশো দেড়শো জন মানুষের হাতে দুবেলার খাবার তুলে দিয়ে আসে স্বাতীলগ্না বোল এবং তার টিম। টিমটি খুব বড় নয় ভীষণ ছোট। কিন্তু তাও প্রতিদিন নিয়ম করে দুপুরবেলা সে পৌঁছে যায় বিভিন্ন স্টেশনে খাবার নিয়ে। নিজের ছোট্ট টিমটির প্রতিটা সদস্যই যেন একনিষ্ট ভাবে কাজ করে চলেছে একই ভাবে। এদের কাজ চলে মূলত অনুদান সংগ্রহের মাধ্যমে। এদের অনুদান তোলার পদ্ধতিও বেশ আলাদা। অধিকাংশ সময় স্বাতী ওয়েলফেয়ারের কর্ণধার স্বাতীলগ্না বোলের লেখা বিভিন্ন বই বিক্রয়ের মাধ্যমেই অনুদান সংগ্রহ করা হয়। আমফানের সময়েও নিজের লেখা গল্প পিডিএফের মাধ্যমে বিক্রয় করে সে তার নিজের ছোট্ট টিমটিকে নিয়ে দাঁড়িয়েছিল দুঃস্থ অসহায় মানুষের পাশে। ফেসবুকে তার একটি বহুল পরিচিত পেজও আছে। নাম “ভবঘুরে কলমে স্বাতী বোল”। এই পেজের মাধ্যমেই সে নিজের লেখা এবং কাজ তুলে ধরে জনসম্মুখে। এই পেজের মাধ্যমেই সে নিজের কাজ লোকের সামনে তুলে ধরে লোকের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে সে।
ইদানীং কালে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলের স্টেশন নিবাসী, পথ নিবাসী, বিভিন্ন প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসরত অসহায় দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্যে সে পুনরায় শুরু করেছে নিজের লেখা বই “স্বপ্নে ঢাকা বাস্তবতা” বিক্রয় করা। বইটি ইতিমধ্যেই ভীষণ রকম সাড়া ফেলেছে পাঠক মননে। বইটি ক্রয় করে স্বাতী ওয়েলফেয়ারের পাশে দাঁড়াতে হলে আপনারাও ঘুরে আসতেই পারেন “ভবঘুরে কলমে স্বাতী বোল” পেজটায়।
সর্বশেষে, আপনাদের পরিচিত কেউ অসহায় অবস্থায় দিন কাটালে যোগাযোগ করতেই পারেন এই পেজে। স্বাতী ওয়েলফেয়ারের পক্ষ থেকে সাহায্য নিয়ে পৌঁছে যাওয়া হবে তার কাছে।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।