নিজস্ব চিত্র
উত্তর ২৪ পরগনা: বাড়ির পিছনেই গাছে ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য বসিরহাটের (Basirhat) হিঙ্গলগঞ্জের মামুদপুর এলাকায়। মৃত ব্যবসায়ীর নাম সুশান্ত বেরা (৫৪)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুশান্ত পেশায় মুদি ব্যবসায়ী। কর্মসূত্রে দীর্ঘদিন দমদমের বেদেপাড়ায় থাকতেন তিনি। রবিবার নিজের আদি বাড়ি মামুদপুরে আসেন। বাড়ির লোকের বক্তব্য, রবিবার বিকালে আচমকাই কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিছুক্ষণের মধ্যেই ফিরে আসবেন ভেবে তাঁরা প্রথমে বিষয়টিতে আমল দেননি।
নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও ফিরে না আসায়, পরিবারের সদস্যরা খোঁজ শুরু করেন। একাধিকবার ফোনও করা হয় তাঁকে। কিন্তু যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। সম্ভাব্য সমস্ত জায়গায় খোঁজ করেন বাড়ির লোকেরা। সোমবার সকালে তাঁদের থানায় যাওয়ার কথা ছিল। সকালেই বাড়ির পিছনের জঙ্গলে একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায় সুশান্তকে।
থানায় খবর দিলে হিঙ্গলগঞ্জ থানার পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠায়। কী কারণে মৃত্যু? খুন না আত্মহত্যা তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই ঘটনার কারণ কী, তা কিছুই আঁচ করতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা। যদি খুন হয়ে থাকে, তাহলে কী কারণে অথবা আত্মহত্যাই বা কেন, কোনও সূত্রই দিতে পারছেন না তাঁরা। পুলিশ বাড়ির লোক ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলছে। সুশান্ত কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

নিজস্ব চিত্র
আরও পড়ুন: বাড়ির সামনে আম গাছে ঝুলছে বিজেপি কর্মীর দেহ, চাঞ্চল্য পূর্ব বর্ধমানে
গোটা বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এলাকাবাসীরাও স্তম্ভিত। ভোট আবহেই গ্রামে এই অস্বাভাবিক মৃত্যু সাড়া ফেলে দিয়েছে। তবে পরিবারের সদস্যরা কোনও তথ্য দিতে না পারায় তদন্তে বেগ পেতে হচ্ছে পুলিশকে। আপাতত জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post