ফাইল চিত্র
নয়া দিল্লি: দেশে ডিসিজিআই ছাড়পত্র পেয়েছে রাশিয়ার করোনা প্রতিষেধক স্পুটনিক ভি (Sputnik V)। রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের সিইও কিরিল দমিত্রেভ ভারতের এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি এ-ও জানিয়েছেন, ভারতে বছরে ৮৫ কোটিরও বেশি স্পুটনিক ভি তৈরি হবে। কিন্তু এই তৃতীয় ভ্যাকসিনের দাম কত হবে? এই প্রশ্নের উত্তর এখনও জানা যায়নি।
সরকারিভাবে না কি বেসরকারিভাবে স্পুটনিক ভি পাওয়া যাবে সে বিষয়েও এখনও কিছু জানায়নি কেন্দ্র। তাই ভ্যাকসিনের দাম নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই যাচ্ছে। কিন্তু বিশ্ব বাজারে এই ভ্যাকসিন মেলে ডোজ় প্রতি ১০ ডলারে যা ভারতীয় মুদ্রায় ৭৫০ টাকার আশেপাশে। ভারতে এই ভ্য়াকসিনের দাম এখনও ঠিক হয়নি। রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের সিইও কিরিল দমিত্রেভ জানিয়েছেন, কেন্দ্রকে যে দামে সেরাম অ্যাস্ট্রাজ়েনেকার কোভিশিল্ড বিক্রি করেছে, তত কম দামে হয়ত মিলবে না স্পুটনিক ভি।
সরকার ভ্যাকসিনের দাম বেঁধে দেওয়ার পর কোনও বেসরকারি হাসপাতালে করোনা টিকা নিতে এখন খরচ হয় ২৫০ টাকা। যার মধ্যে ১৫০ টাকা ভ্যাকসিনের দাম ও ১০০ টাকা সার্ভিস চার্জ। স্পুটনিক কত দামে মেলে সেটাই এখন দেখার। মডার্না ও ফাইজ়ারের পর বিশ্বের সবচেয়ে কার্যকরী করোনা টিকা হল স্পুটনিক। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে করোনা রুখতে স্পুটনিক ৯১.৬ শতাংশ কার্যকরী। ভারতে তৃতীয় দফার ট্রায়াল চলাকালীনই ১৯ ফেব্রুয়ারি আপদকালীন অনুমোদনের আবেদন করেছিল স্পুটনিক। ইতিমধ্যেই বিশ্বের একাধিক দেশে অনুমোদন পেয়েছে রাশিয়ার এই করোনা প্রতিষেধক। ভারতে ১৮ থেকে ৯৯ বছর বয়সী ১ হাজার ৬০০ জনের ওপর ট্রায়াল চালিয়েছে ডঃ রেড্ডিজ ল্যাব। এই ভ্যাকসিনকে মূলত মাইনাস ১৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। তবে সাধারণ শীতলাবস্থাতেও এই ভ্যাকসিন ২ মাস সতেজ থাকে। তাই ভারতে এই ভ্যাকসিন নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: করোনা রুখতে বিদেশি ভ্যাকসিনে বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post