গুপ্তচর সন্দেহে ধৃত চিনা নাগরিককে জিজ্ঞাসাবাদ করবে এনআইএ
কলকাতা: মালদায় চিনা গুপ্তচর (Chinese SPY) সন্দেহে ধৃত ব্যক্তিকে এবার জেরা করবে এনআইএ (NIA)। ইতিমধ্যেই এনআইএ তদন্তকারীরা মালদা বিএসএফ ক্যাম্পে পৌঁছেছেন। বিএসএফ থেকে প্রাথমিক বেশ কিছু তথ্য নিয়েছেন তদন্তকারীরা। শুক্রবার ধৃত চিনা নাগরিককে জিজ্ঞাসাবাদ করবে এনআইএ ।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, হান জুনেই চাইনিস সিক্রেট এজেন্সির এজেন্ট। তাঁর এক সঙ্গী সান জিইয়াং-কে কিছুদিনের আগেই লখনউ এটিএস গ্রেফতার করেছে। তার কাছ থেকে ১০-১৫টি সিম কার্ড পায় এটিএস।
সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদে এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, ধৃত চিনা নাগরিক এর আগে চারবার ভারতে এসেছেন। ২০১০ সালে হায়দরাবাদ ও ২০১৯ সালের পর তিন বার দিল্লির গুরুগ্রামে এসেছিলেন। যদিও জেরাতে তিনি জানিয়েছেন, গুরুগ্রামে তাঁর একটি হোটেল রয়েছে। যার নাম স্টার স্প্রিং।
জানা গেছে, ২ জুন ব্যাবসায়িক ভিসায় ঢাকায় আসেন। সেখানে চিনা বাসিন্দার সঙ্গেই ছিলেন। ৮ জুন বাংলাদেশের নবাবগঞ্জে আসেন। সেখান থেকে ১০ জুন বৃহস্পতিবার ভারতে প্রবেশের সময় ধরা পড়েন বিএসএফের হাতে।
এই চিনা অনুপ্রবেশকারীর কাছ থেকে ১ টি অ্যাপল ল্যাপটপ, ২টি আইফোন মোবাইল, ১ টি বাংলাদেশি সিম, ১টি ভারতীয় সিম, ২টি চাইনিজ সিম, ২টি পেন ড্রাইভ, ৩টি ব্যাটারি, ২ টি ছোট টর্চ, ৫টি টাকা লেনদেনের মেশিন, ২টি এটিএম কার্ড, ইউএস ডলার, বাংলাদেশি টাকা এবং ভারতীয় মুদ্রাও উদ্ধার করা হয়েছে।
তাঁর কাছে পাওয়া ল্যাপটপ ও অন্যান্য নথি খতিয়ে দেখে এই ব্যাক্তিকে চিনের গুপ্তচর বলেই মনে করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এখন পর্যন্ত তাঁকে মহদিপুর ক্যাম্পে রেখে টানা জেরা চলছে। তাঁর স্ত্রীও একাধিকবার তাঁর সঙ্গে ভারতে এসেছেন বলে জানা গিয়েছে জেরায়।
২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post