সুরশ্রী রায় চৌধুরী: অসমের গুয়াহাটির চিড়িয়াখানায় গোমাংসকে কেন্দ্র করে বিজেপি নেতা সত্যরঞ্জন বোরার নতুন বিধান। গুয়াহাটির চিড়িয়াখানায় বাঘ, সিংহকে গোমাংস দেওয়া যাবে না। এবার থেকে পশুরা গোমাংস খেতে পারবে না। এই প্রতিবাদে সোমবার গুয়াহাটির চিড়িয়াখানার দরজা আটকে দাড়িয়ে রইলেন নেতা এবং তাঁর সমর্থকরা।তখন চিড়িয়াখানার মাংসাশি আবাসিকদের জন্য গাড়ি বোঝাই গোমাংস ঢুকছিল। সেই গাড়ি আটকে দেন সত্যরঞ্জনরা। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের আবেদনে হস্তক্ষেপ করে পুলিশ। হঠিয়ে দেয় প্রতিবাদীদের।
গোমাংস নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদে স্লোগান দিতে থাকেন বোরা। জানান, ‘হিন্দু সমাজে আমরা গরু সংরক্ষণের দিকে গুরুত্ব দিই। কিন্তু চিড়িয়াখানায় এই গোমাংসই মাংসাশিদের খাওয়ানো হয়। কেন গরু? অন্য কোনও পশুর মাংস কেন দেওয়া হচ্ছে না?’ প্রশ্ন তোলেন বোরা। তার পর নিজেই প্রস্তাব পেশ করেন। গুয়াহাটি চিড়িয়াখানায় সম্বর হরিণের সংখ্যা খুব বেড়ে গেছে। বংশবৃদ্ধি আটকানোর জন্য পুরুষ হরিণদের আলাদা রাখা হচ্ছে। বোরার দাবি, এই সম্বর হরিণদের মাংস দেওয়া হোক বাঘেদের।
প্রস্তাব শুনেই খারিজ করেছেন ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার তেজস মারিস্বামী। তাঁর অধীনেই বর্তায় এই চিড়িয়াখান। তিনি জানিয়েছেন, আইন অনুযায়ী চিড়িয়াখানার আবাসিক পশুদের মাংস অন্য মাংসাশি প্রাণীকে খাওয়ানো যায় না। তাছাড়া সম্বর হরিণ বন্যপ্রাণী। বন্যপ্রাণীকে হত্যা করা যায় না।
উল্লেখ্য, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনসার্ভেশন অফ নেচার এই সম্বর হরিণকে ‘বিলুপ্তপ্রায়’ বলে জানিয়েছে। ১৯৭২ সালে বন্যপ্রাণ (সুরক্ষা) আইনে এই প্রাণীকে সুরক্ষা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। অসমের বনমন্ত্রী পরিমল শুক্লাবৈদ্য জানিয়েছেন, মাংসাশি প্রাণীদের পুষ্টির জন্য গোমাংস দেওয়া জরুরি। কেন্দ্রের নির্দেশিকাতেই তা বলা রয়েছে। অনেক চিড়িয়াখানায় মোষের মাংস দেওয়া হয়। অসমে তা পাওয়া যায় না বলে গোমাংস দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন উত্তরপ্রদেশে চালু হচ্ছে গরু-মহিষের জন্য আধার কার্ড

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post