নিজস্ব প্রতিবেদন: কোনও এক মৃণাল-ছবির দৃশ্য। সাদা-কালো ফ্রেম। ঘন কালো পিচের রাস্তায় দোতলা বাস। তাতে লাফিয়ে উঠে পড়ল ছবির এক চরিত্র।
শহরের পথে এ দৃশ্য আগে সহজ স্বাভাবিক থাকলেও, ইদানীং তা দূরের অতীত। তবে আবার তা ঘোরতর বর্তমান হয়ে উঠতে চলেছে। কেননা, শহরে ফিরছে দোতলা বাস। আগামীকাল, মঙ্গলবার দোতলা বাসের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে গণপরিবহণের মাধ্যম হিসেবে নয়।
একটা সময় ব্যরাকপুর, হাওড়া, বেহালার রাস্তায় চলাচল করত এই বাস। নব্বইয়ের দশক থেকেই দোতলা বাসের সংখ্যা ক্রমশ কমতে থাকে কলকাতায়। বিভিন্ন কারণে ২০০৫-এ এই বাস বন্ধ হয়ে যায়। বাঙালির কবিতায়, সিনেমায়, গল্পে এই বাসের সগৌরব উল্লেখ আছে। দোতলা বাস শহরবাসীর কাছে নস্ট্যালজিক ব্যাপার। সেই পুরনো স্মৃতি এই নতুন বাসের চাকার সঙ্গেই ফিরবে বলেই মনে করছেন পরিবহণ দফতরের আধিকারিকরা।
পরিবহণ দফতর আশাবাদী,এই বাস আরও বেশি সংখ্যায় পথে নামানোর জন্য শীঘ্রই কেন্দ্রের প্রয়োজনীয় অনুমতিও পেয়ে যাবে তারা। রাজ্য সরকারের লক্ষ্য, সাধারণ যাত্রী পরিবহণের বদলে পর্যটনে প্রসার ঘটানো। সেই লক্ষ্য সামনে রেখেই পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগম প্রায় ৯০ লক্ষ টাকা খরচ করে আপাতত ৪৫ আসনের দু’টি দোতলা বাস তৈরি করিয়েছে। ধাপে ধাপে মোট ১০টি দোতলা বাস নিতে চায় রাজ্য। সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ রোড ট্রান্সপোর্ট (সিআইআরটি)-এর ছাড়পত্রও পেয়েছে তারা। এই ছাড়পত্র না মিললে বাস পথে নামানো যায় না।
নতুন এই দোতলা বাস অবশ্য আগের মতো টুকটুকে লাল নয়। নীল-সাদা। এই বাসে থাকছে সমস্ত আধুনিক ব্যবস্থা। থাকছে আগের চেয়ে বেশি চওড়া সিঁড়ি। বাসে থাকছে সিসি ক্যামেরা, প্যানিক বাটন। দু’টি বাসই ছাদ খোলা থাকবে। বর্ষা বা গরমে ছাদে অস্থায়ী ছাউনি দেওয়া যায় কি না, তা নিয়েও ভাবনাচিন্তা হয়েছে। বিশেষ এক ধরনের আচ্ছাদন ব্যবহার করা যাবে বলে শোনাও যাচ্ছে। দোতলার অংশে থাকছে স্বচ্ছ ফাইবার গ্লাস।
আরও পড়ুন: চিৎপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, তিন ঘণ্টা পরেও আগুন নেভাতে হিমশিম দমকলের ১৮টি ইঞ্জিন

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post