সুরশ্রী রায় চৌধুরী: করোনা পরিস্থিতিতে তন্তুজের পাশে রাজ্য সরকার। দীর্ঘদিন লোকডাউনের জেরে দেশের অর্থনীতি ধুঁকছে। তারই মধ্যে
এবার পুজোয় লাভের মুখ দেখল তন্তুজ। করোনা পরিস্থিতিতে এই রূপ খবরে খুশির হাওয়া তাঁতিদের মুখে। পূর্ব বর্ধমানের ধাত্রীগ্রাম, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর, নদিয়ার ফুলিয়া, শান্তিপুর, হাওড়া এবং হুগলির ধনেখালি ও বেগমপুর থেকে প্রায় ৮ কোটি টাকার শাড়ি কিনিছে তন্তুজ। তন্তুজের চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী তাঁতিদের পাশে সব সময় রয়েছেন।
তন্তুজের চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির উদ্যোগে কয়েকবছর ধরে তন্তুজ লাভের মুখ দেখছে। সবমিলিয়ে ৭ কোটি ৬৯ লক্ষ ৩৪ হাজার ৭০০ টাকার শাড়ি কেনা হয়েছে। এই রাজ্য–সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের তন্তুজর শোরুমগুলি থেকে বাংলার তাঁতিদের হাতে বোনা শাড়ি বিক্রি হবে। দামও থাকবে নাগালের মধ্যে।’ গত বছর পুজোর মরশুমে রাজ্যের তাঁতিদের কাছ থেকে মোট ৬ কোটি ২৫ লক্ষ টাকার শাড়ি কেনা হয়েছিল।মমতা ব্যানার্জির উদ্যোগে কয়েকবছর ধরে তন্তুজ লাভের মুখ দেখছে।
এ বছর সমবায় সমিতিগুলির মাধ্যমে ৬ কোটি ৭২ লক্ষ ৭১ হাজার ৭০৮ টাকার শাড়ি কেনা হয়েছে আর জেলায় জেলায় ক্যাম্প করে ৯৬ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকার শাড়ি কেনা হয়েছে। এই শাড়িগুলির মধ্যে উলেখযোগ্য বাংলার নারীদের সবথেকে জনপ্রিয় বালুচরী শাড়ির ৯টি ডিজাইনের পুনরুদ্ধার।
বাঙালির দুর্গউৎসবে তাঁতের চাহিদা খুবই বেশি। পঞ্চমী থেকে দশমী প্রতিদিনের সাইলের তালিকায় থাকে তাঁত। শুধু বাঙলাই নয়
দেশ–বিদেশে এই শাড়ির চাহিদা ও কদর বেশি। তাই তন্তুজ এখন লাভজনক সংস্থা। মহামারীর সময়ে রাজ্য সরকারের সংস্থা তন্তুজর এই লাভ তাঁতিদের জন্য সুখবর।
আরও পড়ুন দুৰ্গাপুজো উপলক্ষে দুঃস্থ মানুষদের বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচিতে সাগরদিঘী উইনার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post