মহম্মদ নাজিম আক্তার, মালদা,২০ অক্টোবর: দীর্ঘ তিন বছর আগে আবেদন করেও ভাতা মিলছেনা ৭৮ বছরের বৃদ্ধের। চাঁচল-২ ব্লকের মালতিপুর পঞ্চায়েতের গঙ্গাদেবীর বাসিন্দা আব্দুল হক। ২০১৯ সালে তিনি প্রথমবারের মতন আবেদন করেন বার্ধক্য ভাতার জন্য। এরপর শুরু হয় ভাতার জন্য তদ্বির করা। ব্লকের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে তাকে বলা হয় আবেদনপত্রটি যেহেতু বাংলায় তাই তাকে নতুন করে আবেদন করতে হবে। বারবার অফিস থেকে ঘোরানোর পরে ২০২০ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে পুনরায় ভাতার জন্য আবেদন করেন আবদুল হক। এরপরেও বৃদ্ধের ভাতা না মেলায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন দর্শকশূন্য পুজো মণ্ডপের রায়ে হতাশ, চতুর্থীতে হাইকোর্ট যাচ্ছে ফোরাম ফর দুর্গোৎসব
প্রসঙ্গত, গত বছর ডিসেম্বরে রাজ্য সরকারের তরফে প্রচুর উপভোক্তাকে নতুনভাবে বার্ধক্য ভাতার আবেদনের মাধ্যমে ভাতা দেওয়া হয়েছিল। আব্দুল হকের নাম ভাতা প্রাপকের তালিকা থেকে বাদ থাকায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন অনেকেই। একথা জানতে পেরে মালদা জেলা তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি মোশারফ হোসেন মালদার ডিএসডব্লিউও অরিন্দম ভাদুরির সঙ্গে যোগাযোগ করলে আবেদনকারীকে সংশ্লিষ্ট ব্লকে পাঠানো হয়। তবুও কাজ হয়নি। এদিকে, আবদুল হক বয়সের ভারে কোন কাজ করতে পারছেন না। দুই ছেলের আলাদা সংসার রয়েছে। দুই মেয়েও বিবাহিত। ফলে, বৃদ্ধা স্ত্রীকে নিয়ে অভাবে সংসার চলে আবদুলের। সোমবার ফের চাঁচল-২ বিডিও অমিত কুমার সাউয়ের সঙ্গে দেখা করে ভাতা চালুর আবেদন করেন আবদুল। বিডিও তার বক্তব্য শোনার পরে জানান, এখন নতুন করে এখন কোন ভাতার আবেদন নেওয়া হচ্ছে না। তবে নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ভাতা প্রাপকদের বেঁচে থাকার শংসাপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে। এখানে কোন কোটা খালি হলে আবদুল হকের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন চাঁচল-২ বিডিও অমিত কুমার সাউ।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post