সুরশ্রী রায় চৌধুরী : বয়ালের বুথে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তাঁর প্রাক্তন দলীয় সুপ্রিমোকে ‘বেগম’ বলে কটাক্ষ করলেন। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বুথ জ্যাম করে ভোটপ্রক্রিয়া স্থগিত রাখার অভিযোগ করেন। মমতার বিরুদ্ধে তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছেন।
বয়ালের বুথ ঘিরে গোটা দিন নন্দীগ্রামের রাজনৈতিক পরিবেশ তপ্ত হয়ে রইলেও আজকের ভোট ভালভাবেই হয়েছে বলে দাবি করেন শুভেন্দু। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বয়ালের ৭ নম্বর বুথে ছাপ্পা ভোট হচ্ছে বলে দাবি করেছিল তৃণমূল। সেই অভিযোগ পেয়ে সেখানে ছুটে যান মমতা। প্রায় দু’ঘণ্টা বসে থাকেন বুথের ভেতরেই। ওখানে বসেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে ফোন করে নালিশ জানিয়ে বলেন, নির্বাচন অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ হচ্ছে না। যতক্ষণ মমতা ওই বুথে ছিলেন, ততক্ষণ ভোটদান ব্যাহত হয় বলেই আজ দাবি করেন শুভেন্দু।
বিকেলে ৭ নম্বর বুথ পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী নয়, প্রার্থী হিসেবে এসে উনি দু’ঘণ্টা ভোট আটকে রাখলেন। এখানে ৭৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। বাকি ১০ শতাংশ মানুষকে তাড়িয়ে দিয়েছেন মমতা।” তাঁর আরও দাবি, “সকাল ৭ টা থেকেই তো মার্কেটে শুভেন্দু। মমতা নেই। তাই সংবাদ মাধ্যমের প্রচার পেতে উনি নাটক করছেন।”
কেন্দ্রে কি তবে পুর্নর্নিবাচন হওয়ার কোনও সম্ভাবনা রয়েছে? শুভেন্দুর জবাব, “সেই প্রশ্নই ওঠে না। এখনও ১০০ জনের বেশি ভোট দেওয়া বাকি। তাঁরা এখন সবাই ভোট দেবে।” তৃণমূল সুপ্রিমো অন্যান্য জনসভা থেকে বারবার নন্দীগ্রামের প্রসঙ্গ টেনে এনে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করেছেন বলেও দাবি করেন তিনি।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post