ছবি- টুইটার
নন্দীগ্রাম: রাত পোহালেই নন্দীগ্রামে (Nandigram) মহাসংগ্রাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বনাম শুভেন্দু অধিকারীর (Suevndu Adhikari) নির্বাচনী যুদ্ধে বাকি আর কয়েক ঘণ্টা। তার আগে পূর্ব মেদিনীপুরের এই কেন্দ্রে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে চড়চড় করে। নন্দীগ্রামে নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এ বার বড় পদক্ষেপ করল নির্বাচন কমিশন। এই কেন্দ্রে বহিরাগতদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রবেশের সমস্ত পথও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বিগত কয়েকদিন ধরেই নন্দীগ্রামে ‘বহিরাগতরা’ ঢুকছে বলে অভিযোগ তুলছিল তৃণমূল। সেই কথা মাথায় রেখে আজ, অর্থাৎ বুধবার নন্দীগ্রামের সমস্ত সীমান্ত সিল করার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। কড়া নির্দেশ দিয়ে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, আজ থেকে কোনও বহিরাগতরা নন্দীগ্রামে প্রবেশ করতে পারবেন না।
নির্বাচনের সময় সাধারণত যে কোনও রাজ্যের সীমান্ত সিল করে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে এভাবে একটা পৃথক বিধানসভা কেন্দ্র সিল করে দেওয়ার নজির খুব একটা নেই বললেই চলে। ২০০৬ সালে একমাত্র সল্টলেক বিধানসভা কেন্দ্রের সীমান্ত সিল করে দেওয়া হয়েছিল। তারপর নন্দীগ্রামের ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ করা হল।
নন্দীগ্রামের হাইভোল্টেজ নির্বাচন নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপি, উভয় দলের পক্ষ থেকেই প্রচুর অভিযোগ তোলা হয়েছে কমিশনের কাছে। বিশেষ করে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার দাবি করেছে, বহিরাগতদের দিয়ে ভোট প্রক্রিয়া বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে বিজেপি। এর ফলে প্রত্যন্ত গ্রামের ভোটাররা আতঙ্কিত হয়ে পড়তে পারেন বলেও অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। এই অবস্থায় নন্দীগ্রামের সমস্ত সীমান্ত সিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন: রাত পোহালেই ভোট, নন্দীগ্রামে জারি হল ১৪৪ ধারা
এর পাশাপাশি কমিশনের পক্ষ থেকে নন্দীগ্রামে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এসপি পদমর্যাদার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীকে। হলদিয়ার দায়িত্ব পেয়েছেন প্রবীণ ত্রিপাঠী। উল্লেখ্য, নাড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনায় এই প্রবীণ ত্রিপাঠীকেই সরিয়ে দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কিন্তু রাজ্য সেই নির্দেশ মানেনি। তাঁকে দিল্লি পাঠানোর কথা বলে রাজ্য। তাঁকেই ফের কমিশন ভোটের দায়িত্ব দেয়। রাজ্যের আইপিএসের ওপরেই ভরসা রাখল কমিশন।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post