নিজামুদ্দিনের সামনে চলছে স্যানিটাইজেশন প্রক্রিয়া। ছবি: পিটিআই.
নয়া দিল্লি: রাতারাতি মত বদল কেন্দ্রের। করোনাকালে কুম্ভ মেলায় অনুমতি দিলেও দিল্লির নিজামুদ্দিন মরকজে রমজান উপলক্ষ্যে নামাজ পরতে দেওয়া সিদ্ধান্ত বদল করল কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার কেন্দ্রের তরফে দিল্লি হাইকোর্টকে জানানো হয়, নতুন বিপর্যয় মোকাবিলা আইন (Delhi Disaster Management Act) অনুসারে সমস্ত ধর্মীয় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
গতবছর করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পরার জন্য দায়ী করা হয়েছিল দিল্লির এই নিজামুদ্দিনকেই। বলা হয়েছিল, সংক্রমণের মাঝেই বিপর্যয় মোকাবিলা আইন লঙ্ঘন করে তাবলিঘি জামাতে (Tablighi Jamaat) অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি আদালত অবধি পৌঁছতেই বন্ধ ছিল নিজামুদ্দিন(Nizamuddin Markaz)। তবে সম্প্রতি দিল্লির ওয়াকফ বোর্ডের তরফে আর্জি জানিয়ে বলা হয়, রমজান উপলক্ষ্যে যেন নিজামুদ্দিনে নমাজ পরতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
এই আর্জির প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, পুলিশের কাছে ২০০ জনের নামের তালিকা জমা দিতে হবে। সেখান থেকে ২০ জনকে প্রবেশ বেছে নিয়ে প্রবেশাধিকার দিতে পারে ওয়াকফ বোর্ড।
২০ জনের বেশি জমায়েতে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সোমবার দিল্লি আদালতের তরফে জানানো হয়, যেখানে হরিদ্বারে মহাকুম্বের আয়োজন করা হচ্ছে, লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হচ্ছে, সেখানে কীভাবে নিজামুদ্দিনে জনসমাগম ২০ জনে সীমাবদ্ধ রাখা যায়? বোর্ডের তরফেও বলা হয়, হাজারো মানুষের মধ্যে মাত্র ২০০ জনের নাম বেছে নেওয়া কষ্টসাধ্য বিষয়।
এর প্রেক্ষিতেই আদালতের তরফে বলা হয়, ২০০ জনের তালিকা গ্রহণযোগ্য যুক্তি নয়। অন্য কোনও ধর্মীয় স্থানে পুণ্যার্থীদের সংখ্যা বেধে দেওয়া হয়নি। সুতরাং এক্ষেত্রেও তা মানা যায় না। একইসঙ্গে আদালতের তরফে কেন্দ্রের কাছে ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সামাজিক বা খেলাধুলোর অনুষ্ঠানে জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়।
এরই জবাবে মঙ্গলবার কেন্দ্র তার অবস্থান বদলিয়ে জানায়, দিল্লি বিপর্যয় মোকাবিলা আইন অনুযায়ী যেকোনও ধর্মীয় স্থানেই জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।
আরও পড়ুন: অম্বানীকাণ্ডের পর্দাফাঁস, সচিনের বাড়ি থেকে উদ্ধার ২ পাসপোর্ট সামনে আনল ভুয়ো এনকাউন্টারের ছক!

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post