তনুময় দেবনাথ: জেলা কোচবিহার। মহকুমা- দিনহাটা, প্রান্তিক ও সীমান্তবর্তী। এই মহকুমার দিনহাটা-২ নং ব্লকের চৌধুরী হাট থেকে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার পাকা রাস্তাটি সোজা পশ্চিমে সাড়ে চার কিলোমিটার গিয়ে হঠাৎ শেষ হয়। তার কিছুটা দূরেই শিশবতলা বাজার (হাট)। নয়ারহাট থেকে আরেকটি রাস্তা পূবদিকে খুব বেশী হলে এক কিলোমিটার গিয়েই থেমে যায়। শিশবতলায় আসে না। নাগরের বাড়ির রাস্তাটিও অন্যহাটে যায়, কিন্তু শিশবতলা বাজারে নয়। নিগমনগর ঘাটপারের রাস্তাটিও শেষ অবধি আর আসে না। বাজারের নাম শিশবতলা। রোববার আর বুধবারে এখানে হাট বসে। বহু লোকের সমাগম হয়। এই গ্রামের নাম- নান্দিনা। নান্দিনার কাছাকাছি রেলস্টেশান আবুতারা। শিশবতলা থেকে দুই কিলোমিটার তো হবেই। বাসস্টপ বলতে পূবদিকে সাড়ে চার কি.মি দূরে চৌধুরী হাট। পশ্চিমদিকে তিন কি.মি দূরে নয়ারহাট। নান্দিনায় বর্তমানে ভোটের বুথ দুটি।গ্রামের লোকসংখ্যা যথেষ্ট। এ গ্রামে হিন্দু মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ই সমান সমান সংখ্যায় আছেন। আর জনবসতির ঘনত্বও বেশ বেশি। এহেন গ্রামের প্রাণকেন্দ্র “শিশবতলা” বেশ বড় বাজার। তাই অনেক দোকানপাট। কিন্তু তবুও আধুনিক “রোড কানেক্টিভিটি” নেই। বিদ্যুৎ এসেছিল সবার পরে। পাথর বিছানো রাস্তা। গত ২০ বছরে ক্ষয়ে ক্ষয়ে সেই পাথর এত চকচকে হয়েছে যে রাতে গাড়ি চালাতে গিয়ে অনেকেরিম্নে হবে, রাস্তায় বুঝি রিফ্লেক্টর লাগানো আছে। স্থানীয়দের দাবী খাতায় কলমে নাকি রাস্তাটি ব্ল্যাকটপ, মানে পাকা। তথাকথিত সেই ব্ল্যাকটপের এখানে ওখানে ছোট বড় নানা মাপের গর্ত। অথচ শর্টকাটে দিনহাটা যেতে গেলে অনেক মানুষেরই ভরসা এই শিশবতলা বাজারের পাশ দিয়ে যাওয়া অপাকা রাস্তাটি। তারই ওপর দিয়ে প্রাইভেট গাড়ি, ভাড়ার গাড়ি, অটো, টোটো, হাতে টানা ভ্যান, মোটর ভ্যান, বাইক সব ঘসটে ঘসটে চলে। এবার দেখার রাজ্যের মাননীয় মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের “পথশ্রী” প্রকল্পের ১২০০০ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের আওতায় কি আসবে এই সাড়ে তিন কিলমিটার রাস্তা। সেই দিকেই তাকিয়ে এলাকার সাধারন মানুষ।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post