ফাইল চিত্র।
মুম্বই: তোলাবাজির অভিযোগ উঠতেই জল্পনা শুরু হয়েছিল পদত্যাগের। কিন্তু দলের নেতাদের সমর্থন পেয়েই মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ (Anil Deshmukh) বলেছিলেন, ভুয়ো অভিযোগ আনার জন্য প্রাক্তন পুলিশ কর্তা পরমবীর সিং(Param Bir Singh)-র বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবেন। নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে(Uddhav Thackeray)-কেও। রবিবার তিনি জানালেন, গোটা বিষয়টির তদন্ত করবেন এক প্রাক্তন বিচারপতি।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি শিল্পপতি মুকেশ অম্বানী(Mukesh Ambani)-র বাড়ির সামনে থেকে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি উদ্ধারের তদন্ত শুরু হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই গ্রেফতার হন ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসার সচিন ভাজে় (Sachin Vaze)। এর কিছুদিনের মধ্যেই মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় পরমবীর সিংকে, তাঁর জায়গায় দায়িত্ব নেন হেমন্ত নাগরালে।
রদবদলের দুদিনের মাথায় মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে একটি বিস্ফোরক চিঠি লেখেন পরমবীর সিং। সেখানে দাবি করেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ ধৃত অফিসার সচিন ভাজ়েকে প্রতি মাসে ১০০ কোটি টাকা তোলাবাজির নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপরই শুরু হয় বিবাদ।
প্রথমে কিছুটা চাপে থাকলেও পরে এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার জানান, চক্রান্ত করেই অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়েছে। যেই সময়ে তোলাবাজির নির্দেশের কথা উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে, সেই সময় অনিল দেশমুখ করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। প্রথমে হাসপাতালে ও পরে বাড়িতে আইসোলেশনে ছিলেন তিনি।
দলের সমর্থন পাওয়ার পর অনিল দেশমুখও মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দেখা করে বৈঠক করেন। গত বুধবারই তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে একটি চিঠি লিখে গোটা ঘটনায় একটি তদন্তের দাবি করেন। নিজে মারাঠিতে টুইট করে লেখেন, “পরমবীর সিং আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছেন, তার তদন্ত করতে আমি মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছি।”
এদিন তিনি সাংবাদিকদের জানান, শীঘ্রই মুখ্যমন্ত্রী একটি আইনানুগ তদন্তের নির্দেশ দেবেন। এই গোটা বিষয়ের তদন্ত করবেন হাইকোর্টের এক প্রাক্তন বিচারপতি। যদিও সেই বিচারপতি কে, এই বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি।
আরও পড়ুন: ২০টি অ্যাকাউন্ট, ৪২৯টি গাড়ি, ধনীতম প্রার্থীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২৬৮ টাকা!

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post