বয়ালে মমতা
পূর্ব মেদিনীপুর: রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের নির্দেশ পাওয়ার পরই বয়ালের ৭ নম্বর বুথে পৌঁছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বললেন আইপিএস নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী। তাঁর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা করার পরই উত্তেজনাপ্রবণ ওই বুথ থেকে বেরিয়ে আসেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী। এর পাশাপাশি নন্দীগ্রামের পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজ নেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশন সুদীপ জৈন।
‘বহিরাগতরা ঢুকে ছাপ্পা ভোট করাচ্ছে’, সকাল থেকেই এই অভিযোগ তুলছিল তৃণমূল (TMC) শিবির। দুপুর গড়াতেই খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী তথা দলীয় সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে পাশে পেয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়ন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা। বুথে উপস্থিত কেন্দ্রীয় বাহিনী তৃণমূল ও বিজেপি শিবিরকে ছত্রভঙ্গ করে। প্রায় এক ঘণ্টা সময় পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে বেরিয়ে আসেন মমতা।
প্রসঙ্গত, নির্বাচন অবাধ হচ্ছে না বলে ওই বুথে বসেই রাজ্যপালের কাছে ফোন করে নালিশ জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন, “ভোটে অশান্তি হচ্ছে। অবাধ ভোট হচ্ছে না।” রাজ্যপালকে ফোন করে তিনি আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই পালটা টুইট করেন রাজ্যপাল। তিনি লেখেন, “কিছুক্ষণ আগেই ফোনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সমস্যার কথা তুলেছিলেন তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষের তরফেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। আমার বিশ্বাস প্রত্যেকে সঠিক চেতনা এবং আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করবেন যাতে গণতন্ত্র সমৃদ্ধ হয়।” এরপরই ওই বুথে গিয়ে পৌঁছন নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী।
Issues flagged @MamataOfficial some time in the past on cellphone have been imparted to the involved.
There is full assurance of the involved to adherence to rule of legislation.
Am assured all will act in proper spirit and earnestness in order that democracy prospers.
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) April 1, 2021
আরও পড়ুন:

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post