নিজস্ব প্রতিবেদন: লালা ওরফে অনুপ মাজি পুরুলিয়ার খেতি বাড়ি কেনা-বেচার ওপর স্থগিতাদেশ দিল সিবিআই। CBI সূত্রে খবর, পুরুলিয়াতে ২৫২ প্লটের বিপুল পরিমান জমি রয়েছে লালার। সেই জমির কেনাবেচা বন্ধ করার আবেদন জানায় সিবিআই। সেই পরিপ্রেক্ষিতে পুরুলিয়ার DM কে নির্দেশ দেয় আদালত। যাতে লালার ওই ২৫২ প্লটের জমি কোনওভাবেই কেনা-বেচার বা লেনদেনের কাজ না হয় সেদিকেই নজর রাখা হয়েছে। CBI সূত্রে খবর, আর কোথায় কোথায় লালার এরকম বিপুল পরিমাণ জমি রয়েছে সেই বিষয়ে নজরদারি চালাচ্ছে CBI
কয়লাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালার এখনও নাগাল পাননি তদন্তকারীরা। তদন্তে ভিন রাজ্যেও অভিযান চালায় সিবিআইয়। উত্তরপ্রদেশে (Uttarpradesh) চান্দৌসি কয়লা মান্ডিতে কয়লাকাণ্ডের তল্লাসি চালাতে হাজির হন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা (CBI)। সূত্র মারফত জানা যায়, লালা (LALA) রাজ্য থেকে বেআইনিভাবে যে কয়লা উত্তোলন করত, তা চলে যেত মুঘলসরাইয়ের (Mughalsarai) চান্দৌলির চান্দোসী কয়লা মান্ডির কিছু ব্যবসায়ীর কাছে।
কয়লাকাণ্ডের তদন্তে কার্যত সিবিআইয়ের (CBI) এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয় মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালা। তার বিরুদ্ধে যে FIR দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা, সেই FIR খারিজের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) যায় সে।
কিন্তু সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায় সিঙ্গল বেঞ্চে। আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, কয়লা কাণ্ডে (Coal Smuggling) তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবে সিবিআই (CBI)। তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। তবে, যে জায়গা রেলের আওতাধীন নয়, সেখানে তল্লাসি করতে গেলে রাজ্যের অনুমতি বাধ্যতামূলক। যদিও রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত এলাকায় থাকা কোনও ব্যক্তিকে যদি জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে সমন পাঠানোর জন্য অনুমতি নিতে হবে না।
উল্লেখ্য, এর আগেই CID-র জালে ধরা পড়েছে মাস্টারমাইন্ড লালা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী রণধীর সিং। কিছুদিন আগেই তাকে দূর্গাপুরের অন্ডাল থেকে গ্রেফতার করা হয়। দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয় ধৃতকে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI-এর পাশাপাশি কয়লাকাণ্ডের তদন্তভার রয়েছে CID-র উপরও। জেলায় জেলায় অভিযান চালিয়েছেন তদন্তকারীরা।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post