সুরশ্রী রায় চৌধুরী : শনিবার ডায়মন্ড হারবার বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী (TMC Candidate) পাল্লালাল হালদারের সমর্থনে পারুলিয়া থেকে স্টেশন বাজার পর্যন্ত রোড-শো করেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। স্টেশন বাজারে ট্যাবলোতে দাঁড়িয়ে বিজেপি কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন অভিষেক।
“বলে আমরা পৃথিবীর সবথেকে বড় দল। কিন্তু থালা পেতে রয়েছে কখন তৃণমূলের একটা নেতা বেরবে আর তাকে প্রার্থী করবে,”
মঙ্গলবার সরিষায় সভা করার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। কিন্তু সন্ধে হয়ে যাওয়ায় তাঁর হেলিকপ্টার অবতরণ করতে পারেনি। এবার সেই প্রসঙ্গ তুলে বিজেপিকে তীব্রভাবে বিঁধে অভিষেকের কটাক্ষ সভায় লোক না হওয়াতেই হেলিকপ্টার নামেনি। তিনি বলেন, “কয়েকদিন আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভা ছিল কিন্তু হেলিকপ্টার নামেনি। তার আগেরবার সর্বভারতীয় সভাপতি বলেছিলেন আমাদের ঢুকতে দিচ্ছে না। এবার কে ঢুকতে দিলো না!” এরপরেই অমিত শাহের (Amit Shah) সভা নিয়ে অভিষেকের খোঁচা, “ডায়মন্ড হারবারে মিটিং থাকলেই হেলিকপ্টার নামে না। বলি, লোক না থাকলে সে দায় কি আমাদের। বুথে নিজেদের এজেন্ট বসাতে পারে না, তবে কি তৃণমূলের লোকজন বিজেপির হয়ে বুথে বসবে!”
এদিনও ট্যাবলো থেকে দফায় দফায় নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ শানান তিনি। সেই সঙ্গে ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূলত্যাগী (BJP Candidate) প্রার্থী দীপক হালদারকে তীব্র আক্রমণ করেনে বিদ্ধ করে তিনি বলেন, “কলকাতায় যে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছিল তার পদলেহন করে বড় বিশ্বাসঘাতক বিজেপিতে যোগ দিয়েছিল। আর বড় বিশ্বাসঘাতকের পদলেহন করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে ছোট বিশ্বাসঘাতক।”
তিনি যোগ করেন, “কাল তো বড় বিশ্বাসঘাতকের পতন হয়ে গিয়েছে নন্দীগ্রামে। আর ছোট বিশ্বাসঘাতক ৬ তারিখে বিসর্জন হয়ে যাবে। ছক্কা মেরে ভোকাট্টা করে দেব।” ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল বিজেপি প্রার্থী দীপক হালদারকে একহাত নিয়ে অভিষেকের অভিযোগ, নিজের পরিবারের লোকজনকে চাকরি করিয়ে দিয়ে এখন নাটক করে বলা হচ্ছে তাকে গত পাঁচ বছর কাজ করতে দেওয়া হয়নি। এর পর বিজেপিকে কটাক্ষ করে তাঁর মন্তব্য, ‘বিশ্বের বৃহত্তম দল অথচ থালা পেতে বসে আছে।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post