সুরশ্রী রায় চৌধুরী: ক্লাসে ধর্মনিরপেক্ষতার পাঠ দেওযার সময়ে ইসলাম ধর্মগুরু হজরত মহম্মদের কার্টুন চিত্র তুলে ধরেছিলেন ছাত্রদের সামনে। ফ্রান্সের রাজধানী শহর প্যারিসে এই ‘অপরাধে’ প্রকাশ্য রাস্তায় দিনের আলোয় মাথা কেটে খুন করা হল এক শিক্ষককে। প্যারিস থেকে তিরিশ কিলোমিটার দূরে কনফ্লাস সেইন্ট হোনোরাইন। সেখানেই একটি স্কুলে ইতিহাস পড়াতেন শিক্ষক। শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকেল পাঁচটা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে সেখানেই।
আরও পড়ুনকরোনা আক্রান্ত দিলীপ ঘোষ
ঘটনার তীব্র নিন্দা করে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এই নৃশংসতাকে ইসলামিক জঙ্গি আক্রমণ বলে অভিহিত করেছেন। ঘাতক জঙ্গির নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি। ঘটনাস্থলেই তাকে উদ্দেশ্য করে গুলি চালায় নিরাপত্তারক্ষীরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সে। পুলিশ সূত্রে খবর, আল্লাহু আকবর রব তুলে এই নৃশংস অপরাধ ঘটিয়েছে সে। এখনও পর্যন্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের একজন নাবালক। একটি পরিচয়পত্র দেখে পুলিশের অনুমান, ওই ঘাতক ২০০২ সালে মরোক্কোয় জন্মেছিল, অর্থাৎ এখনও নাবালক সে। তবে এই পরিচয়পত্র জাল হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে এক অভিভাবক নরডিন চৌয়াদি বলেন, “আমার ছেলে বলেছে উনি খুবই ছাত্রপ্রিয় বন্ধুবৎসল ছিলেন। সেদিন ক্লাসে উনি কিছু মুসলিম ছাত্রকে বলেন, আমি চাই তোমরা ক্লাসের বাইরে যাওয় কিছুক্ষণের জন্য, কারণ তোমাদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়া আমার উদ্দেশ্য নয়।” তারপরেই মহম্মদের কার্টুন চিত্র (ব্যঙ্গচিত্র নয়) ছবি ছাত্রদের দেখান তিনি।
অবশ্য এই প্রথম নয়। ২০১৫ সালে ফ্রান্সে তোলপাড় শুরু হয় শার্লি এবদোর ঘটনায়। সেবার মহম্মদের একটি ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের জন্য প্যারিসেরর ইহুদি সুপারমার্কেট অঞ্চলে শার্লি এবদোর অফিসে আক্রমণ চালানো হয়।এদিনের ঘটনার পর জরুরি বৈঠক ডেকেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ। ঘটনাস্থলেও যান তিনি। সংবাদ মাধ্যমকে একটি বিবৃতি দিয়ে তিনি জানান, গোটা দেশ শিক্ষকদের পাশে দাঁড়াবে। ফরাসি অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রী জানিয়েছেন বিষয়টির উপর নজর রাখা হচ্ছে। ফরাসি জঙ্গিদমন শাখা সরাসরি এই ঘটনাকে তুলনা জঙ্গিহানার সঙ্গে তুলনা করেছেন।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post