আমজাদ আলী, মালদা: দীর্ঘ দুই দশক ধরে পৌরসভার দাবি এবারও খারিজ করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফের চাচলবাঁসীর স্বপ্নভঙ্গ হল। বুধবার মালদায় প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চাচলের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ চাচোল পৌরসভা নিয়ে আরজি জানালে মুখ্যমন্ত্রী বলেন হবেনা, এখন পৌরসভা করা সম্ভব নয় সাফ জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য জানার পরই হতাশ চাচলবাসী। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের ক্ষোভ ব্যক্ত করে একাধিক পোস্ট করেছেন চাচোলবাসী। পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র মহাকুমা সদর যেখানে পৌরসভা নেই।
২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের প্রাক্কালে চাচলে এসে প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছিলেন পুর ও নগর উন্নয়ণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তখন তিনি বলেছিলেন শুধু রাজ্যপালের স্বাক্ষর বাকি আছে। তার কথাই বুক বাঁধতে শুরু করেন চাচোলবাসী। ওদের ২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রথমবারের মতো এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃনমূল প্রার্থী জয়ী হয়ে ভেবেছিলেন , এবার হয়তো অপেক্ষায় অবসান হবে। কিন্তু এদিন তাদের আশায় জল ঢেলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা দীপক চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমাদের আবেগ নিয়ে ছিনিমিনি খেললো শাসক দল। ফিরহাদ হাকিম এখানে এসে মিথ্যা বলেছিলেন। তৃণমূল নেতারাও এতদিন মিথ্যা বলে যাচ্ছিলেন। আজ স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী বললেন। আমরা খুব মর্মাহত। বুঝতে পারছি এই সরকারের আমলে আর পৌরসভা হবে না।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post