নিউজ ডেস্ক : হাথরসে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে ফের পুলিশি হেনস্থার শিকার। একই উদ্দেশ্যে যাওয়া শুক্রবার তৃণমূলের এক প্রতিনিধি দলকে আটকাল উত্তর প্রদেশের পুলিশ। এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, মমতাবালা ঠাকুর এবং প্রতিমা মণ্ডল। কিন্তু নির্যাতিতার গ্রাম থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে ব্যারিকেড করে স্থানীয় পুলিশ–প্রশাসন তাঁদের পথ আটকে দাঁড়ায়। সেই সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে মাটিতে পড়ে যান সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়ান। অভিযোগ, ধাক্কা দেওয়া হয় কাকলি ঘোষ দস্তিদার, মমতা বালাদেরও।
উল্লেখ্য, হাথরাসে গণধর্ষণে মৃত তরুণীর পরিবারের সঙ্গে দেখার জন্য বৃহস্পতিবারও রওনা দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা। কিন্তু রাহুল ও প্রিয়াঙ্কাকে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি কংগ্রেসের। শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি রাহুল গান্ধীকে পুলিশ মারধর করে বলেও অভিযোগ।
এদিকে ১৪৪ ধারা জারি থাকায় হাথরাসের ওই এলাকায় কাউকে ঢুকতে অনুমতি দেওয়া যাবে না। শুক্রবার তৃণমূল প্রতিনিধি দলকে সাফ জানিয়ে দেয় পুলিশ। যদিও পুলিশের কাছে প্রবেশাধিকার চেয়ে বারবার অনুরোধ করে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। কিন্তু সেই কথায় কান দেয়নি পুলিশ। তবে ডেরেক ও’ব্রায়েন অনুরোধ করেন যাতে মহিলা প্রতিনিধিকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু যোগীর পুলিশ অনুমতি দেয়নি বলে অভিযোগ। এরপর পুলিশের ব্যারিকেডের সামনেই ধরনা দিতে থাকেন সাংসদরা।
এদিন সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, হাথরাসে যা হয়েছে তা ঘোরতর অন্যায়। ‘একটা মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করে বাবা মায়ের অনুমতি না নিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে এখানে। এটা অন্যায়।’
পাশাপাশি ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, ‘‘ সমস্ত প্রোটোকল মেনেই আমরা সেখানে যাচ্ছিলাম। আমরা সশস্ত্রও নই। কেন আমাদের আটকানো হল? এটা কেমন জঙ্গলরাজ চলছে যে, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের শোকতপ্ত পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হবে না?’’

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post