সংবাদদাতা বসিরহাট : ভোটের মুখে হিঙ্গলগঞ্জ বাজার কমিটির উদ্যোগে উত্তর প্রদেশ থেকে হিঙ্গলগঞ্জে আশা ভারসাম্যহীনকে বাড়ি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেছিল এলাকাবাসী ও হ্যাম রেডিও। তবে এই প্রথম নয়, আগেও একাধিক মানসিক ভারসাম্যহীনকে বাড়ি ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন হিঙ্গলগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা ও হ্যাম রেডিওর যৌথ উদ্যোগ। আবারও হিঙ্গলগঞ্জ থেকে এক ভারসাম্যহীনকে উত্তরপ্রদেশের বাড়ি ফেরালো।
কয়েকদিন ধরেই বছর ৭০ এক বৃদ্ধকে হিঙ্গলগঞ্জের নদীর ধারে, কখনও মন্দিরে চত্বরে আবার কখনও বাজারে ঘোরাফেরা করতে থাকা ব্যক্তিটিকে দেখে বোঝা যায়, তিনি মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছেন। ঘুরতে ঘুরতে হিঙ্গলগঞ্জ বাজারে চলে আসলে বাজার কমিটির নজরে পড়ে। বাজার কমিটির উদ্যোগে তার থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করলে আধো আধো দুর্বোধ্য় ভাষায় কি যে বিড়বিড় করতেন, তাও বোঝা যেত না। বেশ কয়েকবার স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে কথা বলার চেষ্টা করা হয় কিন্তু কোন তথ্য না পেয়ে অবশেষে বাজার কমিটি হ্যাম রেডিও সাথে যোগাযোগ করেন। হ্যালো রেডিওর মাধ্যমে ওই ব্যক্তির ছবির তথ্য নিয়ে জানা যায়, ওই ব্যক্তির নাম রাধেশ্যাম যাদব । তার বাড়ি উত্তরপ্রদেশের আজমাত নগর। এরপর ওই ব্যক্তির ব্যক্তির পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হয়। তারা জানান ১৫ বছর বয়সে সে বাড়ি থেকে হঠাৎ উধাও হয়ে যায় বহু খোঁজাখুঁজির পরেও তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। গতকালই তারা বেরিয়ে পড়েছেন, ওই বাড়ির পরিবার হিঙ্গলগঞ্জ পৌঁছালে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। পশ্চিমবঙ্গ হ্যাম রেডিও সেক্রেটারি অম্বরীশ নাগ বিশ্বাস জানান ভোটের মুখে ওই ব্যাক্তিকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে পেরে আমরা ভীষন খুশি।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post