নিজস্ব প্রতিনিধি : ফ্রিদা কাহলো নামটি চারুকলা জগতের বাইরে ও বেশ জনপ্রিয়। নারীবাদের ‘সেল্ফ লাভ’ জোয়ারে গা ভাসাননি এমন নারীর সংখ্যা কম। ফ্রিদা ছিলেন বিংশ শতাব্দির এমন একজন নারী যিনি এনেছিলেন এই প্রচলন।
ফ্রিদা কালোকে বলা হয় বিংশ শতাব্দির সবচেয়ে বেদনালীন এক শিল্পী যিনি সৃষ্টি করেছেন এক জীবনমথিত বেদনাগাঁথার ধারাবাহিক ক্যানভাস।১৯০৭ সালে মেক্সিকোর কয়োকান শহরে জন্ম হয় ফ্রিদার,পুরো নাম ম্যাগদালিনা কারম্যান ফ্রিদা কাহলো ই ক্যালদেরন।
ফ্রিদা কাহলোর ১১৪ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শিল্পী সৌমিতা সাহা আয়োজন করেছেন এক ভার্চুয়াল চিএ প্রর্দশনীর। প্রর্দশনীর নাম ” রুমিনেটিং ফ্রিদা (Ruminating Frida) “, সৌমিতার আঁকা “অ্যাফ্লেটাস” ছবি চারুকলা জগতে ইতি মধ্যেই যথেষ্ট চর্চিত। এই ছবিতে ফ্রিদার প্রতিকৃতি মেলানো হয় “peace ” শব্দ লিখে। ১৯৩০ সালে জার্মানীতে যখন নাৎসিবাদিতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠে, তখন ফ্রিদা নিজের নামের বানান লিখা শুরু করেন Frieda, যা জার্মান Frieden (শান্তি) শব্দটির অপভ্রংশ! মূলত সেই বিষয়টি ঠাঁই পেয়েছেন শিল্পী Soumita Saha-র ছবিতে। অ্যাফ্লেটাস সহ আর কিছু বিভিন্ন ধারার ছবিতে সৌমিতার ক্যানভাসে ফুটে উঠেছে ফ্রিদার মুখ। প্রর্দশনীকে কোভিড পরিস্থিতির জন্য ভার্চুয়াল রাখতে বাধ্য হন সৌমিতা। প্রর্দশনী শুরু হচ্ছে ৬ই জুলাই অর্থাৎ ফ্রিদার জন্মদিন উপলক্ষে, ফ্রিদার প্রয়াণ দিবস ১৩ই জুলাই অবধি।৪৭ বছর বয়সে প্রয়াত এই শিল্পী আত্মপ্রতিকৃতি এঁকেছিলেন পঞ্চান্নটি। বলতেন, যার সঙ্গে চেনাজানা আর বোঝাপড়া অন্তহীন তিনি তাঁরই ছবি আঁকেন।ম্যজিক্ রিয়েলিজম কথা বলত শিল্পীর ক্যানভাসে, যাতে ঠাঁই পেয়েছে তার ছোট্ট বেলার নীল বাড়ী।
আরও পড়ুন নতুন সম্পর্কে জড়িয়ে কি বিবাহ বিচ্ছেদ করলেন অভিনেতা আমির খান?
সৌমিতা বলেন “ফ্রিদার জীবন আমাকে অনুপ্রাণিত করে।জীবনের পরতে পরতে যে শিল্পীর বেদনাঘন জীবন এসে ছুঁয়ে ছুঁয়ে গেছে বারবার সেই প্রিয় শিল্পী ফ্রিদা কালোকে নিয়ে কিছু ব্যাক্ত করা কঠিন। জীবনের বেশির ভাগটাই বিষাদ, আনন্দ সামান্যই। তবু অজস্র রঙে ভরিয়ে তুলতেন ক্যানভাস। এমন একজন শিল্পী আমার কাছে পূজনীয়।” সৌমিতা একজন সফল সঙ্গীতশিল্পী হওয়ার পাশাপাশি অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন চিত্রকর। সৌমিতার আঁকা ছবি সম্প্রতি প্রর্দশিত হয় পোর্টল্যান্ডের প্রসিদ্ধ আর্ট রীচ্ গ্যারিতে।
আরও পড়ুন পেট্রোল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধিতে (Petrol Price) ত্রাহি ত্রাহি রব মধ্যবিত্তের

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post