মহম্মদ নাজিম আক্তার, মালদা,০৭অক্টোবর: ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা পুজোর দিন বাজ পড়ে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর পোস্ট অফিসের ইন্টারনেট মেশিন খারাপ হয়ে যায়।ব্যাহত হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। কিন্তু তারপর ১৭ থেকে ১৮ দিন কেটে গেলেও এখনো পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা আসে নি। ফলে মাসের শুরুতে চরম সমস্যার মুখে পড়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার কয়েক হাজার পোস্ট অফিসের গ্রাহক। তৈরি হচ্ছে না নতুন কোন অ্যাকাউন্ট। পাওয়া যাচ্ছে না সুদের টাকা। স্বল্প সঞ্চয় জনিত পরিষেবা পুরোপুরিভাবে বিঘ্নিত হয়ে পড়েছে। শুধুমাত্র একটি সেভিংস লেনদেন করা হচ্ছে। অন্য সমস্ত পরিষেবা বন্ধ রাখতে হয়েছে। পোস্ট অফিস এর পক্ষ থেকে বলা হয় উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে এই ব্যাপারে জানানো হয়েছে। বিএসএনএল অফিসকেও জানানো হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।
কাশিমপুরের বাসিন্দা মৌসুমী দাস নামে এক গ্রাহক বলেন,’সুপর্ণা সমৃদ্ধির জন্য টাকা জমা করতে এসেছি পোস্ট অফিসে। কিন্তু লিংক না থাকায় এক সপ্তাহ ধরে ঘুরতে হচ্ছে। ফলে প্রচন্ড হয়রানি হচ্ছে। যাতে দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হয় এটাই চাইবো। কারণ সব গ্রাহককে এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।”
পিপলার বাসিন্দা অর্কদ্যুতি চক্রবর্তী নামে আরেক গ্রাহক বলেন,”আমি একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করি। সেভিংস এর টাকা তুলব বলে কাজ ক্ষতি করে পাঁচ-ছয় দিন ধরে ঘুরছি। এই পোস্ট অফিসে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ এবং ২ নং ব্লকের প্রচুর গ্রাহক আছে। এরকম পরিষেবা দিলে কিভাবে চলবে? প্রত্যেকেই মারাত্মক হয়রানির শিকার হচ্ছে।”
হরিভূষণ পান্ডে নামে আরেক গ্রাহকও একই অভিযোগ করেন,তিনি বলেন,”পোস্ট অফিসে জমানো টাকা থেকে যে সুদ পায় তার উপর নির্ভর করে সংসার চলে। কিন্তু লিঙ্ক না থাকায় সাতদিন ধরে ঘুরছি। মাসের শুরুতে সংসার চালাতে গিয়ে প্রচণ্ড সমস্যার মুখে পড়েছি। ওষুধ কিনতে পারছিনা। সমস্যার দ্রুত সমাধান করা উচিত।”
পোস্ট মাস্টার রাজেন উপাধ্যায় বলেন,”বাজ পড়ে ইন্টারনেটের মেশিন খারাপ হয়ে গেছে। এর ফলে শুধু নতুন অ্যাকাউন্ট খোলা হচ্ছে না। কিন্তু আমাদের লেনদেন চলছে। লেনদেনের ক্ষেত্রে গতকালই একটু সমস্যা হয়েছিল। তবে যতটুকু সমস্যা আছে তাও দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।”

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post