প্রতীকী চিত্র।
পূর্ব মেদিনীপুর: বিজেপি (BJP) কর্মীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ। ভোটের মুখে উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম। অভিযোগ, সোমবার শুভেন্দু অধিকারীর জনসংযোগ কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার কারণেই এই ঘটনা ঘটানো হয়। অভিযোগের আঙুল তৃণমূলের দিকে। যদিও শাসকদল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই এই ঘটনা।
নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের ওই বিজেপি কর্মীর অভিযোগ, সোমবার দলীয় প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর হয়ে ভোটপ্রচারে বেরিয়েছিলেন তিনি। বাড়ি ফেরার আগে একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন। সে সময় বারবার স্ত্রীকে ফোন করলেও উত্তর পাননি। এরপরই ছুটে বাড়ি যান। দরজা ঠেলে ঘরে ঢুকেই দেখেন ঘর ফাঁকা। স্ত্রীর নাম ধরে ডাকলেও মেলেনি সাড়া।
এরপরই ঘরের পিছনের দরজা নিয়ে একটি খালের দিকে উঁকি মারেন ওই বিজেপি কর্মী। টর্চ মারতেই দেখেন খালের জলে স্ত্রীর মাথা ভেসে। ছড়িয়ে রয়েছে চুল। চিৎকার শুরু করেন তিনি। ছুটে আসেন আত্মীয়-পড়শিরা। সকলে মিলে ধরাধরি করে জল থেকে তোলেন ওই মহিলাকে। শরীর একেবারে ছেড়ে দিয়েছিল বিজেপি কর্মীর স্ত্রীর।
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে আজ শাহি-ঝড়, পথে নামবেন ‘জাত গোখরো’, ‘রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার’ও
তাড়াহুড়ো করে নিয়ে যাওয়া হয় রেয়াপাড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। ওই বিজেপি কর্মী বলেন, “মনে হচ্ছে জোর জবরদস্তি, ধস্তাধস্তি করা হয়েছে। মারার চেষ্টা করা হয়েছে ওকে। আমার অপরাধ যে আমি বিজেপি করছি। আমার মা, বউদিকেও ভয়ে ভয়ে থাকতে হচ্ছে।”
এই ঘটনায় তৃণমূলের দিকে বিজেপি অভিযোগের আঙুল তুলেছে। বিজেপির দাবি, পায়ের তলায় মাটি সরে গিয়েছে তৃণমূলের। তাই তারা এ ধরনের নোংরামো করছে। পাল্টা তৃণমূলের দাবি, নন্দীগ্রাম-২ ব্লকে বিজেপি আদি-নব্যর কোন্দলে জর্জরিত। এ ঘটনাও সে কারণে। তৃণমূলকে মিথ্যা ফাঁসিয়ে ঘরের দোষ চাপা দিতে চাইছে বিজেপি।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post