নিজস্ব সংবাদদাতা , পূর্ব বর্ধমান:- পূর্ব বর্ধমান জেলার, খণ্ডঘোষ ব্লকের, কৈয়ড় অঞ্চলের অন্তর্গত তোড়কোনা গ্রামের প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র বর্তমানে বেহাল দশায়। তোড়কোনা সহ পাশাপশি এলাকার মানুষদের চিকিৎসার জন্য নির্ভর করতে হয় স্থানীয় এই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপরই। কিন্তু বর্তমানে বেহাল দশায় রয়েছে তোড়কোনা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি, যার ফলে, সমস্যায় পড়ছেন বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজন। শারীরিক নূন্যতম কোন অসুবিধার সম্মুখীন হলেই ছুটে আসতে হয় তোড়কোনা গ্রামীণ হাসপাতালেই। বিল্ডিং এর একটি প্রান্তে রয়েছে আশা কর্মীদের পরিষেবা প্রদান কেন্দ্র আর সেখান থেকেই গর্ভবতী মায়েদের কোনরকমে পরিষেবা দেওয়া হয়ে থাকে। অপরদিকে রয়েছে অন্যান্য চিকিৎসা পরিষেবার ব্যবস্থা।
কিন্তু বর্তমানে, প্রাথমিক-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির বিল্ডিং এর চারদিকে বড় বড় ঘাস ও নোংরা স্তুপে যেমন ভরে গিয়েছে তেমনি ভয়ঙ্কর দশায় রয়েছে হাসপাতালের বিল্ডিং। ছাদ সহ দেওয়ালে বড়ো বড়ো ফাটলের চিহ্ন চিন্তায় ফেলেছে চিকিৎসা পরিষেবা নিতে আসা রোগীদের সহ ডাক্তার ও স্বাস্থ্য কর্মীদের। যখন তখন ভেঙে পড়তে পারে ছাদ, আবার অন্যদিকে দেওয়ালও। এক কথায় দেখভালের অভাবে বেহাল দশায় তোড়কোনা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র। কোথাও কোথাও খসে পড়েছে ছাদের আস্তরণ। ডাক্তার বাবু, নার্স, ফার্মাসিস্ট থাকলেও, আতঙ্কে রয়েছেন তাঁরাও, কে জানে কখন ঘটে যাবে বড়ো সড়ো দুর্ঘটনা।
ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ইমারতি দ্রব্য। ধুলো-বালিতে ভরে গিয়েছেন চত্বর। প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চেহারাটা দেখলে ইমারতি দ্রব্যের দোকান ভুল করতে পারেন অনেকেই।
চিকিৎসা পরিষেবা নিতে আসা সোমা খাঁ নামে এক মহিলা বলেন,তোড়কোনা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অবস্থা খুবই ভয়ানক। এখানে না আছে পাখা,না আছে বসার জায়গা। ডাক্তারের চেম্বারে রোগী দেখার কোনরকম সরঞ্জাম নেই। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঘরগুলি ভগ্নদশায় আছে, ঘরের দেওয়ালে বড় বড় ফাটল এবং ছাদ খসে পড়ছে। কারেন্ট যদিও আছে পাখার ব্যবস্থা নেই। তোড়কোনা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বহু দূর-দূরান্ত থেকে রোগীরা আসে। এছাড়াও তিনি আরও বলে, যে-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দিকে কারোর নজর নেই না হলে এতদিনে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি নবরূপে সজ্জিত হতো। পাশাপাশি সন্ধ্যা সাউ নামের এক রুগী বলেন, এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অবস্থা এতটাই ভয়ানক যে এখান থেকে কোনরকম ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফিরতে পারলে বাঁচি। যে কোনো মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে অঘটন। এখানে রোগীরা আসে জীবন হাতে নিয়ে। এছাড়াও তিনি বলেন, স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি যদি নতুন করে করা হয় তাহলে প্রচুর উপকৃত হবেন তারা।
খণ্ডঘোষ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি শ্যামল কুমার দত্ত বলেন, “পূর্ব বর্ধমান জেলার খণ্ডঘোষ ব্লকের তোড়কোনা স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি আনুমানিক ১৯৫৮ সালে তৈরি। এখানে ২৫ থেকে ৩০ টি গ্রামের মানুষ আসেন পরিষেবা নিতে। বাঁকুড়া বর্ডারের ইন্দাস ব্লকের আকুই অঞ্চলে প্রচুর মানুষ,কৈয়ড় অঞ্চলের মানুষ,সগড়াই অঞ্চলের মানুষ এবং গোপালবেরা অঞ্চলের মানুষ আসেন এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। তিনি দাবি করেছেন যে- নতুন বিল্ডিং বানিয়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিকে আরও উন্নতি করতে। ডাক্তার,নার্স এবং কম্পাউন্ডার যেন ২৪ ঘন্টাই থাকে, এছাড়াও ১০ থেকে ১৫ টি বেডের ব্যবস্থা যেন হয়। বিভিন্নভাবে,বিধায়ক নবীন চন্দ্র বাগের মাধ্যমে এবং বিডিও এর মাধ্যমে চেষ্টা চালানো হচ্ছে যাতে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি নতুন ভাবে সাজাতে পারি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য দপ্তরের অনেক অনেক উন্নতি ঘটিয়েছে। আগের চেয়েও এখন স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং হাসপাতালের পরিকাঠামো বদলেছে। এখন বিভিন্ন দামি ওষুধ আসছে যা আগে আসেনি”। তিনি আরও বলেন,মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানাই তোড়কোনা স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি যেন নতুন রূপে ফিরতে পারে। তোড়কোনা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আমূল পরিবর্তন না হলে যখন তখন ঘটতে পারে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা, দাবি স্থানীয় মানুষজন সহ স্বাস্থ্য কর্মীদের।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post