
মহম্মদ নাজিম আক্তার, মালদা,৩০ সেপ্টেম্বর: সদ্য বিবাহিত এক যুবকের ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।তবে পরিবারের দাবি খুন করা হয়েছে তাকে।শরীরের একাধিক জায়গায় রয়েছে আঘাতের চিহ্ন।ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায়।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার দ্বিগুণ গ্রামের বাসিন্দা সানাউল্লাহ।মাত্র ১৫ দিন আগেই বিয়ে হয়েছিল তার।পরিবার সূত্রের দাবি গত রাতে একাই ঘুমিয়ে ছিল সে।তার মা তাদের বাড়ির পাশে কাকার বাড়িতে ঘুমোতে যাই।তারপর সকালে এসে তার মা ঘরের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় ছেলের দেহ দেখতে পাই।অভিযোগ বছর কুড়ির ওই যুবকের শরীরে একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।তাছাড়া তার আত্মহত্যা করার মতো কোনো কারণ নেই।তাই পরিবারের লোকজন মনে করছে তাকে খুন করা হয়েছে।স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যও এমনটাই মনে করছেন।
মহম্মদ মতিউর রহমান নামে ওই পঞ্চায়েত সদস্য বলেন,”সকাল সাতটার সময় আমি এই ঘটনার কথা জানতে পারি।এসে যা দেখলাম মনে হচ্ছে খুন করা হয়েছে সানাউল্লাহকে।কারণ তার শরীরে একাধিক জায়গায় ক্ষত চিহ্ন এবং রক্তের দাগ রয়েছে।আমরা চাইছি পুলিশ ঘটনার সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তি দিক।”
সানাউল্লার মা বলেন,”কাল রাতে আমরা একসাথেই খাওয়া-দাওয়া করেছিলাম। পাশে আমার জায়ের বাড়িতে কেউ না থাকায় আমি ঘুমোতে যাই। সকালে এসে দেখি এমন ঘটনা।ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই ছেলের দেহ। কিন্তু সারা শরীরে ক্ষত চিহ্ন। ওর সঙ্গে তো কারোর কোনো ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল না। তাই ভেবে পাচ্ছিনা কে বা কারা এমন করল। পুলিশ পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখে দোষীদের শাস্তি দিক এখন এটাই আমরা চাই।”
মাত্র ১৫ দিন আগে বিয়ে হয়েছিল বছর কুড়ির যুবক সানাউল্লার।বিয়ের ১৫ দিনের মাথায় এই যুবকের রহস্য মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।ব্যক্তিগত শত্রুতা বা অন্য কারণে খুন নাকি আত্মহত্যা করেছে ওই যুবক?এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে এলাকাবাসীর মনে। সমগ্র ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post