হাড়োয়া: তিন দফা ভোট (Election 2021) মিটে গিয়েছে। সামনেই চতুর্থ দফা। আর তার আগে রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে আসছে রাজনৈতিক সংঘর্ষের খবর। এবার বোমায় হাত উড়ে গেল ১৭ বছরের এক তরুণের। উত্তর ২৪ পরগণার হাড়োয়ার ঘটনা। তৃণমূল (TMC) কর্মীরা বোমা মেরেছে বলে অভিযোগ আক্রান্তের পরিবারের।
শুক্রবার ভোর রাতে ঘটনাটি ঘটে হাড়োয়ায়। আক্রান্ত ১৭ বছরের তরুণের নাম রবিউল ইসলাম। বোমার আঘাতে তার ডান হাত উড়ে গিয়েছে বলে খবর। আক্রান্ত অবস্থায় তাকে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে কলকাতার আরজিকর স্থানান্তরিত করা হয় তাকে। আক্রান্ত ওই তরুণ বিজেপি কর্মীর পরিবারের ছেলে বলে জানা গিয়েছে।
আক্রান্ত তরুণের মা সাহিদা বিবি জানিয়েছেন, কলকাতা থেকে কাজ সেরে রাতে বাড়ি ফেরেন ছেলে রবিউল। ভোরের দিকে সে তখন বিশ্রাম নিচ্ছিল, তখন কেউ বা কারা তাকে লক্ষ্য করে বোমা মারে। তার কাকার নজরুল ইসলাম বর্তমানে বিজেপি কর্মী বলে দাবি করেছেন। তিনি এই ঘটনায় অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, আসলে টার্গেট করা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু ভুল করেই বোমা মারা হয় তাঁর ভাইপোকে। একসময়ের তৃণমূল করা নজরুল ইসলাম বর্তমানে বিজেপি কর্মী। তাই এলাকার তৃণমূল কর্মীদের তার উপর রাগ আছে বলে উল্লেখ করেন ওই ব্যক্তি। তাঁর দাবি যারা বোমা মারতে এসেছিল তাদের প্রত্যেককেই চিনতে পেরেছে তাঁর ভাইপো। এরা সবাই এলাকার তৃণমূল নেতা বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই এলাকায় তৃণমূলের একটি বৈঠক ছিল। এরপরই বোমা মারার ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: খুন ধর্ষণের হুমকি! শাহের প্রচারের আগেই সংঘর্ষে উত্তপ্ত ভবানীপুর
যদিও এই ঘটনার দায় অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। হাড়োয়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ আহমেদ বলেন, ‘এ ঘটনায় তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। নিজেই বোমা মারতে গিয়ে সেই বোমা ফেটে হাত পুড়ে গিয়েছে বলে দাবি এই নেতার। তিনি বলেন, ‘তৃণমূলের আদর্শ এটা নয়। তৃণমূল প্রত্যেককে ভালবেসে ধরে রাখতে চায়।’ এই ঘটনায় আসল তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকাল থেকেই থমথমে এলাকার পরিবেশ। এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ চালাতে পারে বলেও জানা যাচ্ছে।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post