নিজস্ব চিত্র
উত্তর দিনাজপুর: ভোট আবহে (West Bengal Assembly Election 2021) ফের উত্তপ্ত উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur)। নির্বাচনের ঠিক আগেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল জেলা সভাপতিকে। এবার বিজেপির (Bengal BJP) নির্বাচনী কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিজেপি কর্মীরা। ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা রায়গঞ্জ বিধানসভার পিরোজপুর গ্রামে।
স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, গত কয়েকদিন ধরে তৃনমূল আশ্রিত দুস্কৃতীরা বিজেপি কর্মীদের নানা ভাবে হুমকি হুঁশিয়ারি দিয়ে চলেছে। বৃহস্পতিবার রাতেও তাঁদের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। শুক্রবার সকালে এলাকার বিজেপি কর্মীরা তাঁদের নির্বাচনী কার্যালয়ে এসে দেখেন, সেটি ভস্মীভূত।
খবর চাউর হতেই দলীয় কর্মী সমর্থকরা জড়ো হয়ে যান এলাকায়। প্রতিবাদে পিরোজপুর গ্রামের রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের অভিযোগ, তৃনমূল আশ্রিত দুস্কৃতীরাই রাতে নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কর্নজোড়া ফাঁড়ির পুলিশ। যদিও স্থানীয় তৃনমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, সদ্য বিজেপির জেলা সভাপতি পরিবর্তন করায় এটা বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের প্রতিফলন। এর সঙ্গে তৃনমূল কোনওভাবে জড়িত নয়।
ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির স্থানীয় মণ্ডল সভাপতি গণেশচন্দ্র বিশ্বাস বলেন, “নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয় পাচ্ছে তৃণমূল। ওঁদের পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে। নির্বাচনের আগে এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতেই এই সব কাজ করছে ”

নিজস্ব চিত্র
আরও পড়ুন: শরীরে রয়েছে কেবল অন্তর্বাস! সাতসকালে রাস্তার ধারের দৃশ্য দেখে হতভম্ব গ্রামবাসীরা
অন্যদিকে, কমলাবাড়ি ১ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান প্রশান্ত দাস বলেন, “এটা বিজেপির নিজস্ব সমস্যা। গোষ্ঠীকোন্দলের জের। তৃণমূলের এর পিছনে কোনও হাত নেই। ওদের যে জেলা প্রেসিডেন্ট, তাকে সরিয়ে দিয়েছে। গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। সংঘর্ষ ওদের আরও বাড়ূবে।” তবে ভোট আবহে এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post