সুরশ্রী রায় চৌধুরী: নন্দীগ্রাম নিয়ে এক বিবৃতি প্রকাশ করলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। এই বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, “১০ বছরে কৃষিতে রাজ্য পিছিয়ে পড়েছে। নন্দীগ্রাম-সিঙ্গুরে এখন শ্মশানের নীরবতা। সম্প্রীতির পরিবেশ বিষাক্ত হয়ে পড়েছে। মহিলাদের নিরাপত্তা ও সম্ভ্রম আজ বিপন্ন। যুবকদের স্বপ্ন চুরমার হয়ে গিয়েছে। শিক্ষাঙ্গন কলুষিত।” স্বাস্থ্য পরিষেবা গরিব মানুষের আয়ত্তের বাইরে চলে গিয়েছে। আসন্ন বিধানসভা ভোটে সংযুক্ত মোর্চাকে জয়যুক্ত করার আহ্বান তিনি জানিয়েছেন।

২০০৭ সালের ১৪ মার্চ পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল নন্দীগ্রামের ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ১৪ জন সদস্যের। যা কাঠগড়ায় তুলেছিল তৎকালীন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পুলিশ বাহিনীকে। নন্দীগ্রাম ও সিঙ্গুরের দুই জোড়া আন্দোলনই কার্যত নাড়িয়ে দিয়েছিল ৩৪ বছরের বাম শাসনের ভীত।কিন্তু, ১৪ বছর পর আচমকাই বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে নন্দীগ্রামের সেই ঘটনা। কারণ সেই আন্দোলনের নেত্রী তথা বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার আচমকাই বলেছেন, সেই ঘটনার দিন শিশির অধিকারী এবং শুভেন্দু অধিকারী যদি অনুমতি না দিতেন, তবে চটি পরিহিত পুলিশ নন্দীগ্রামে ঢুকতে পারত না।
আরো পড়ুন: সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্ক লাগোয়া বস্তিতে অগ্নিকাণ্ড, ভস্মীভূত বহু ঘর
মমতার এই একটি বক্তব্যই কার্যত তোলপাড় ফেলে দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তাহলে কি কোথাও প্রচ্ছন্নভাবে অধিকারীদের পুলিশ ঢোকানোর পদক্ষেপে সায় ছিল মমতার? বিস্ফোরক এই প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছেন বিরোধীরা। তারই মধ্যে বুদ্ধবাবুর এই বিবৃতি রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত অর্থবহ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post