সুরশ্রী রায় চৌধুরী: পশ্চিমবঙ্গে হিংসার নেত্রী মাননীয়া ও তাঁর সরকার। মাননীয়ার প্রশাসন আমার ফোন ট্যাপ করছে। তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের পাল্টা কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। স্পষ্টতই বললেন, ‘হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসটাইম ছাড়া আমার কথা বলার উপায় নেই। রাজ্যের ছোটখাটো বিজেপি নেতাদেরও ফোন ট্যাপ করছে সরকার’।
আরো পড়ুন হাড়োয়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে গুলিতে নিহত দুই
এদিন কার্যত গোটা দেশজুড়ে ২১ জুলাই পালন করল তৃণমূল। ভার্চুয়াল মাধ্যমে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ শোনা গেল ত্রিপুরা, অসম, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাটের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতেও। পাল্টা শ্রদ্ধাঞ্জলী দিবস পালন করল বিজেপিও। দিল্লির রাজঘাটে দলের সাংসদের নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন দিলীপ ঘোষ।
আরো পড়ুন মহেশতলা ডাকঘর কালীবাড়িতে চুরি, গহনা বিহীন মা
কলকাতার হেস্টিংসে বিজেপি কার্যালয়ে আয়োজিত কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’য় নিহত কর্মীদের স্মৃতিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন তিনি। বলেন, ‘আজকের দিনটিতে পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও, গণতন্ত্র বাঁচাও। নির্বাচনের পর ২ মে থেকে রাজ্যে গণতন্ত্র রক্ষায় প্রথম শহিদদের উদ্দেশে আজ আমরা শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাচ্ছি। আদালতের নির্দেশে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন যে রিপোর্ট পেশ করেছে তাতেই পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। গোটা দেশের কাছে পশ্চিমবঙ্গবাসীর মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে’।
আরো পড়ুন জালে মদ তৈরি করে তিনি এখন জালে! দলীয় নেতাকে বহিষ্কার তৃণমূলের
এদিকে শহিদ দিবসের ভাষণে নাম না করে ফের শুভেন্দুকে ‘গদ্দার’ অ্যাখ্যা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘গদ্দারদের মানুষ রাজনৈতিকভাবে বিদায় দেবে। এটা আমি বিশ্বাস করি। আর বিজেপি পার্টিতে গদ্দারদের জন্ম হয়। ভালো লোকেদের জন্ম হয় না। কারণ ওরা সভ্যতা জানে না। সংস্কৃতি জানে না। এভাবেই ওরা সবার মুখ বন্ধ করে দেয়।’
২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post