সুরশ্রী রায় চৌধুরী : বয়ালের বুথ থেকে বেরিয়ে এসে নন্দীগ্রামের ভোটে অশান্তির জন্য সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর দিকে আঙুল তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন ফের একবার নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে চাঁচাছোলা প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
শুভেন্দুকে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, “এই ভোটে যিনি বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়েছেন, তিনি তাঁর চূড়ান্ত অসভ্যতামি, কাল রাত থেকে তাণ্ডব ও বিভিন্ন এলাকা গিয়ে গুণ্ডামি করা শুরু করেছেন। এমনকি আবু তাহের ও আব্দুল সামাদ-সহ যাদের গ্রেফতারিতে হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ জারি করেছে, তাদের বাড়ি গিয়েও রাতে তাণ্ডব করা হয়েছে। আমরা নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানিয়েছি।”
কেন্দ্রীয় আধাসেনারা “সকাল থেকে বন্দুক নিয়ে বসে রয়েছে কাউকে ভোট দিতে দেয়নি। প্রত্যেকটা মানুষ আমায় নালিশ করছে।”
বয়ালের বুথ নিয়ে তাঁর দাবি, “এখানে ভোটটা চিটিংবাজি হয়েছে। আমি তিনদিন ধরে বলছি। এখানে ওরা (বিজেপি) অত্যাচার করেছে চূড়ান্ত।” কেন্দ্রীয় আধাসেনার দিকে আঙুল তুলে মমতা আরও বলেন, “আমি ওদের কোনও দোষ দেব না। ওরাও আমার বন্ধু। আমরা ওদের নিয়ে গর্বিত আমি শুধু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলব। উনি নিজে আধাসেনাকে নির্দেশ দিয়েছেন শুধুমাত্র বিজেপির গুণ্ডাদের সাহায্য করার জন্য।”
গোটা নন্দীগ্রামে যারা ঘুরে বেড়াচ্ছে তাঁদের বেশিরভাগই বহিরাগত বলে এ দিন দাবি করেন মমতা। নির্বাচন কমিশনের কাছে একগুচ্ছ চিঠি দিলেও কোনও লাভ হয়নি। নির্বাচন পরিচালনকারী এই সংস্থা একপেশে ভাবে বিজেপিকেই সমর্থন করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বয়ালের ৭ নম্বর বুথে গণ্ডগোলের অভিযোগ উঠলেও নন্দীগ্রামে তিনিই জিতবেন বলে দাবি করেছেন মমতা। এ দিন তিনি বলেন, “আমি নন্দীগ্রাম নিয়ে চিন্তিত নই। আমি চিন্তিত গণতন্ত্র নিয়ে। নন্দীগ্রামে আমিই জিতব মা-মাটি-মানুষের আর্শীবাদে।”

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post