রিয়াকে শুধু জামিনই দেয়নি আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে আনা এনসিবি-র যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট। তবে রিয়ার বিরুদ্ধে করা মামলা এনসিবি চালিয়ে যাবে বলেই জানিয়েছে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো।
মুম্বই : মাদক পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী গতকাল ২৮ দিন বাদে জামিন পেয়েছেন। অভিনেত্রীর আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে তাঁকে ‘বাংলার বাঘিনী’ আখ্যা দিয়েছেন। এও জানিয়েছেন, নিজের হৃতমর্যাদা ফিরে পেতে পাল্টা লড়াইয়ের ঘুরে দাঁড়াবেন রিয়া।
এক মাস জেলে কেমন কাটালেন প্রাক্তন সেনা অফিসারের কন্যা তথা প্রয়াত অভিনেতার বান্ধবী?
আইনজীবী মানশিন্ডের কথায়, ’’এত বছর পরে ব্যক্তিগত ভাবে আমার কোনও মক্কেলকে দেখতে আমি জেলে গেলাম। কারণ তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছিল। কিন্তু ওকে আমি জেলে যে অবস্থায় দেখেছি, তাতে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি। ও একেবারেই ভেঙে পড়েনি। নিজের খেয়াল রাখত। নিজে যোগাসন করত ও অন্যদেরও ক্লাস নিত। জেলে ও নিজেকে বেশ মানিয়ে নিয়েছিল। এমনকি করোনার জেরে বাইরের খাবার ( বাড়ির খাবার) জেলে ঢুকতে দেওয়া হতো না। জেলের খাবার খেত রিয়া। আর পাঁচজনের সঙ্গে এমনভাবে মিশে থাকত মনে হত ও খুব সাধারণ মানুষ। যুদ্ধক্ষেত্রে মানুষ যেভাবে লড়ে, সেনা পরিবারের মেয়ে হয়ে ও সেভাবেই লড়েছে। সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ও তৈরি।‘‘
রিয়াকে শুধু জামিনই দেয়নি আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে আনা এনসিবি-র যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট। তবে রিয়ার বিরুদ্ধে করা মামলা এনসিবি চালিয়ে যাবে বলেই জানিয়েছে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো।
সুশান্তের পরিবারের বিরু্দ্ধে সরব হয়েছেন মানশিন্ডে। তিনি বলেছেন, রিয়ার প্রতি সুশান্তের পরিবার খুব প্রতিহিংসাপরায়ণ। প্রসঙ্গত, সুশান্তের বাবার দাবি, রিয়া তাঁর ছেলেকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছেন, তাঁর টাকাপয়সাও নয়ছয় করেছেন।
টেলিভিশন চ্যানেলগুলি টিআরপি বাড়ানোর জন্য রিয়াকে নিয়ে মিথ্যা, ভিত্তিহীন খবর বানিয়ে বানিয়ে দিনের পর দিন দেখিয়ে গেছে বলেও অভিযোগ করেছেন মানশিন্ডে।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post