নিজস্ব প্রতিবেদন: কলকাতার সঙ্গে লন্ডন এর দূরত্ব দেবী দুর্গার আগমনের মাধ্যমে কমতে চলেছে। করোনা কালে ডিজিটাল এর এই যুগে পুজোও এবার ডিজিটাল। প্রবাসে থেকে যাঁরা নিজের দেশের মাটিকে মনে করেন, পুজোর সময় কিন্তু তাঁরা সব ভূগোলের দূরত্ব ভুলে মেতে ওঠেন শারদ উৎসবে। তবে এবছর তার ব্যতিক্রম।
করোনা নামক অতিমারির তাণ্ডবে সব বাঙালিরই প্রায় একটাই প্রশ্ন, এবার পুজো ঠিক কেমন ভাবে হবে? কলকাতায় প্যান্ডেল বাঁধা শুরু হলেও লন্ডনে এবছর পুজোর কোনো অনুমতি মেলেনি। এমন অবস্থায় সুদূর লন্ডনের পুজো হবে খোদ কলকাতায়। পুরোহিত সুবীর চট্টোপাধ্যায় প্রতি বছর লন্ডন যেতেন, এবার মা তাঁর বাড়িতেই আসছেন। অরপিংটন, কেন্ট, ইংল্যান্ডের এই দুই শহরে বিগত দুই বছর ধরে স্বল্প কয়েকটি পরিবারের মহিলারা দুর্গাপুজো পরিচালনা করেন। ‘উৎসব’ নামক সংস্থার মাধ্যমেই দীর্ঘদিন ধরে পুজো হয়ে আসছে। ২০১৮ সালে প্রথম বছরেই লন্ডন এর সেরা পুজোর শিরোপা পায় এই পুজো। এবার করোনা কালে অনুমতি না মেলায় লন্জনের পুজো হাজির হতে চলেছে খোদ শহর কলকাতায়।
কিন্তু কীভাবে?
উৎসব-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পুরোহিত মশাইয়ের বাড়িতে তাঁদের প্রতিমার ছবি সাজানো হবে, সেখানেই পুজো হবে। ডিজিটাল স্ট্রিমিং মাধ্যমে লন্ডনবাসীরা পুজো দিতে পারবেন। জুম এর মাধ্যমে থাকছে নিজের মতো পুজো দেওয়ার ব্যবস্থা, থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। আর এই উদ্যোগের সঙ্গে আছেন প্রখ্যাত অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। তিনি জানান, “এই করোনা কালে পুজোও এবার ডিজিটাল। অরপিংটন,লন্ডনের পুজো এবার হবে কলকাতায়। ডিজিটাল মাধ্যমে পুজোর এই আয়োজন সার্থক হোক এই প্রার্থনা করি।”
আরও পড়ুন-”যাওয়ার সময় গীতবিতান ও আবোল তাবোল সঙ্গে নিয়ে যাব” বলেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়
আরও পড়ুন-সিঙ্গাপুরে পুজো কাটবে, ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমীর দিনে ট্রাডিশনাল সাজই পছন্দ : ঋতুপর্ণা
পুরোহিত সুবীর চ্যাটার্জি বললেন,” পুজো ডিজিটালি হলেও সবাই কিন্তু স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিধিনিষেধ মেনে চলুন।” উৎসব অরপিংটন এর পক্ষে কথা বললেন সিমকি দাস,অর্ণব সেন,” এই অতিমারির সময় যে ভাবে আগে পুজো হত, এবছর তা করা সম্ভব হচ্ছেনা। কলকাতার কিছু বন্ধু এই উদ্যোগের সঙ্গে সহযোগিতা করায়, কলকাতা থেকেই এবার পুজোর ব্যবস্থা হয়েছে।”

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post