সুরশ্রী রায় চৌধুরী: কিছুদিন আগে আসামে রাজ্য সরকারের খরচে চলা মাদ্রাসা ও সংস্কৃত টোলগুলি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অসম সরকার। সরকারের দাবি প্রতিবছর ৩-৫ কোটি টাকা খরচ হয়ে যায় এই টোল চালাতে। অবিলম্বে এই খরচ বন্ধ করতে চায় রাজ্য। আবার ও বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে আসাম। অসমের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি পুনর্নির্বাচিত হয়ে এলে লাভ জিহাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ হবে। হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, ”আমাদের মাটিতে লাভ জিহাদের বিরুদ্ধে কঠোর লড়াই শুরু হবে। অসমে কোনও ছেলে নিজের পরিচয় ও ধর্ম গোপন করে বিয়ে করলে অথবা আমাদের মেয়ে ও বোনদের সম্পর্কে কোনও খারাপ কথা বললে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে।”
এদিন এআইইউডিএফ প্রধান বদ্রুদ্দিন আজমলকে সরাসরি আক্রমণ করেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি এদিন সাফ জানিয়ে দেন, আজমলস আর্মির চক্রান্তের জন্য নির্বাচনে বিজেপি পাঁচটি কেন্দ্রে আসন হারিয়েছে। কিন্তু একই ভুল বিজেপি আর করবে না। তিনি এদিন বলেন, ”আমরা প্রতিজ্ঞা করেছি, আজমলস আর্মির কেউ আমাদের মেয়েদের স্পর্শ করলেই তাঁদের একমাত্র শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড। বহু মুসলিম ছেলে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের পরিচয় গোপন করে অসমের মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলছে। লাভ জিহাদ এখন অসমের মেয়েদের কাছে সব থেকে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সমস্যা আমাদের সমাধান করতে হবে। না হলে আগামী দিনে আরও বড় বিপদ আমাদের মেয়েদের জন্য অপেক্ষা করছে।”
২০২১ সালের মার্চ-এপ্রিল মাসে অসমে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। মোট ১২৬টি আসনে হবে অসমের নির্বাচন। এদিন বিশ্বশর্মা বলেন, ”আজমলস আর্মির চক্রান্তের বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে। না হলে এই সংস্কৃতি ও সভ্যতাকে বাঁচানো যাবে না। এমনকী অসমের মানুষের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত থাকবে না। নির্বাচনে বিজেপি পুনর্নির্বাচিত হয়ে না এলে আগামী ১৫ বছরের মধ্যে অসম আর বসবাসের যোগ্য থাকবে না। তাই এখনই জেগে ওঠার সময়।”
আরও পড়ুন রাজ্যজুড়ে বাড়ছে আরও ৬০০টি কোভিড শয্যা, নিয়োগ প্রায় আড়াই হাজার নার্স

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post