ফাইল চিত্র
কলকাতা: কয়লাপাচার কাণ্ডে (Coal Scam Case) লালা ফের একবার লালা ওরফে অনুপ মাজির বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, লালার বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আবেদন করবে সিবিআই। আবেদন করা হবে রক্ষাকবচ তুলে নেওয়ার জন্য। যাতে কয়লাপাচার মামলার অন্যতম অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা যায়।
দীর্ঘ সময় নিখোঁজ থাকার পর সম্প্রতি নিজাম প্যালেসে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয় লালা। শনিবার-সহ তিনদিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় লালাকে। আধিকারিকদের মুখোমুখি হয়ে বেরিয়ে আসার পরও সে মুখ খোলেনি। এ বার সরাসরি অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেই আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে সিবিআই।
যেহেতু আগামী ৬ এপ্রিল পর্যন্ত লালার রক্ষাকবচ রয়েছে, সেই কারণে ওই দিনের পরই আদালতে আবেদন জানানো হবে সেই কবচ প্রত্যাহারের। সিবিআই চেয়েছিল লালাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কয়লাপাচার কাণ্ডের মূল পাণ্ডাদের সন্ধান পাওয়া যাবে। কিন্তু কোনও ভাবেই তাঁর থেকে কাঙ্খিত তথ্য পাওয়া যায়নি। এ বার সিবিআই চাইছে নিজের হেফাজতে নিয়ে লালাকে জেরা করতে।
আরও পড়ুন: পেনশন চাইলে ব্যাঙ্কের জবাব ‘মোদীকে বলুন’, প্রধানমন্ত্রীর খোঁজে বিজেপির কার্যালয়ে বৃদ্ধা, তারপর…
লালার কারবার প্রায় ২০০০ কোটি টাকার ছিল বলে সম্প্রতি জানতে পেরেছে সিবিআই। এই পাহাড়প্রমাণ অঙ্কের টাকা লেনদেনের গোড়ায় পৌঁছতে লালার পেট থেকে আরও কথা বের করতে মরিয়া সিবিআই। এই কয়লা চক্রের মাথায় কে, অর্থাৎ কে সেই প্রভাবশালী ব্যক্তি যার অঙ্গুলিহেলনে এই সবকিছু হয়েছে, সেটা জানাই এখন মূল উদ্দেশ্য সিবিআই-র।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ মার্চ লালার গ্রেফতারির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত তাঁকে রক্ষাকবজ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। দীর্ঘ কয়েক মাস নিখোঁজ থাকার পর তারপরই সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে আসে।
আরও পড়ুন: ‘পকেটমানি’ দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করতেই কমিশনে ধাক্কা খেল তৃণমূল

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post