প্রীতম ভট্টাচার্য: মলমাসে দুর্গা পুজো একমাস পিছিয়ে তার ওপর করোনার প্রকোপে দুর্গাপুজো অনেকটাই ক্ষীন।করোনা শিখিয়ে দিলো মানুষ কে কিভাবে বাঁচতে হবে। সারা দেশ লকডাউনে জেরবার, খিদে সঙ্গে করে কাছের মানুষদের কাছে ফিরতে চাওয়া মুখগুলো কখনও রাস্তায় মাইলের পর মাইল হেঁটে, ট্রেনের লাইনে শুয়ে নিজেদের জীবন দিয়ে, কেউ কাজ হারিয়ে আবার কেউ নিজের পরিবারের কাছে ছুটে এসেছিলো দিনের পর দিন পায়ে হেঁটে, সমাজ নাম দিয়েছিলো পরিযায়ী যাদের একমাত্র গন্তব্য খিদে কে বাস্কবন্দী করে নিজের পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়া। আর এই পরিযায়ীদের বাস্তব চিত্রটা তুলে ধরেছে এবারের বেহালা বরিষা ক্লাব কৃষ্ণগরের শিল্পী পল্লব ভৌমিকের সৃষ্টিতে।পল্লব সাধারন মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে।কৃষ্ণনগর হাইস্কুল থেকে ১৯৯৫ এ মাধ্যমিক পাশ করে।

আরও পড়ুন ‘বলিউডকে আমিই প্রথম বৈধ অ্যাকশন নায়িকা দিয়েছি’, জয়াকে তোপ দেগে মন্তব্য কঙ্গনার
ছোটোবেলা থেকেই মূর্তি গড়া ও ছবি আঁকায় বেশ পারদর্শি বাড়ির ছোটোছেলেটির পাশে ছিলো তার পরিবারের যথেষ্ট সাপোর্ট।২০০২ সালে বি.ভি.এ,২০০৪ সালে এম.ভি.এ করে গর্ভমেন্ট আর্টকলেজ থেকে। কলকাতা ও দিল্লীতে তার ছবির প্রদর্শণী হয় রীতিমত।ছোটোখাটো ছেহারার ৪০ বছর বয়সী পল্লবের ছোটো থেকেই শিল্পীর হওয়ার স্বপ্ন ছিলো, কৃষ্ণনগর রাধানগর উদয় মিত্র সরণীতে তার নিজের বাড়িতেই তার কারখানা। সেখানে মাটি, ফাইবারগ্লাসের কাজ হয় সারাবছর, ২০১৫ তে সেপ্টিপিন দিয়ে কলকাতার সন্তোষমিত্র এভ্যুনিউ সাউথের ঠাকুর বেশ নজরকাড়ে।
এই বছর তার এটি দ্বিতীয় প্রতিমা ফাইবারগ্লাসের।দুই মাস ধরে চলেছে এই প্রতিমা তৈরীর কাজ। পল্লব বলেন পুজো উদ্যোক্তারা আমাকে যেমন বলেন আমি তেমন করেই করেছি, আমি আমার একশো শতাংশ দিয়েছি এবার মানুষ বলবে তাদের কেমন লেগেছে।এই সময় এরকম একটা প্রতিমা বানাতে পেরে আমি খুব আনন্দিত, এটি যদি সংরক্ষন করা হয় তাহলে আরো খুশী হবো। আগামী দিনে আরও একরকম কাজ করতে চাই। মাটির দেশের আরও এক শিল্পীর নেটদুনিয়ায় চিনিয়ে দিলো কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্পকে।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post