সুরশ্রী রায় চৌধুরী: শনিবার কোচবিহার জেলার শীতলকুচির আমতলি গ্রামে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। ঘটনার জেরে তীব্র ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা গ্রাম। ময়নাতদন্তের পর রবিবার নিহতদের দেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। সম্পন্ন হয়েছে শেষকৃত্যও। রবিবার নিহতদের পরিবারের সঙ্গে শিলিগুড়ি থেকে ভিডিও কলে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। রাজনৈতিক নেতাদের আগামী ৩ দিন কোচবিহার জেলা সফরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কমিশন। চতুর্থ দিন অর্থাৎ বুধবার যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
শনিবার মাথাভাঙার জোড়পাটকায় আমতলি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বুথে তখন ভোট চলছিল। হঠাৎই খবর পাওয়া যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছে এলাকার ৪ বাসিন্দার। বুলেটের আঘাতে একজনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। বাকি তিন জনকে গুরুতর অবস্থায় গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন বাকি ৩ জন। এলাকার ঐ ৪ বাসিন্দা মণিরুল জামান (২৮), হামিদুল মিঞা (৩০), ছামিউল হক(২০) এবং নুর আলম মিঞা (২০)। রবিবার দুপুরে তাঁদের দেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। আমতলি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে মৃতদের শেষ শ্রদ্ধা জানান গ্রামের বাসিন্দারা। কালো পতাকা তোলা। বিকালে দেহগুলো নিয়ে যাওয়া হয় সমাধিস্থ করার জন্য। জোড়পাটকা এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া। শনিবার ৪ জনের হত্যা দেখার পর থেকে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা গ্রাম। গ্রামে সকাল থেকেই বাহিনী নেই বটে, তবে ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে রয়েছে পুলিশ। নিহতদের বেশিরভাগেরই বয়স ২০ থেকে ৩০-এর মধ্যে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মনিরুল সিকিমে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। ভোট দেওয়ার জন্যই গ্রামে এসেছিলেন। হামিদুলও মাথাভাঙায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। ছামিউল ছিলেন মাথাভাঙা কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। মুখ্যমন্ত্রীর ফোনের উত্তরে নিহত মনিরুলের মামা ফোনে জানান, তাঁর ভাগ্নে মনিরুল বাইরে রাজমিস্ত্রির কাজ করত। ভোট দিতে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়েছিল। কেন্দ্রীয় বাহিনী মনিরুল ও আরও ৩ জনকে নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করেছে। তাদের বাড়িতে বাবা-মা, স্ত্রী-সন্তান রয়েছে। শিশু সন্তানের বয়স মাত্র ৪৫ দিন। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, তাঁরা বিচার চান। হত্যাকারীদের শাস্তি চান। গুলিতে মৃত হামিদুলের দাদা মুখ্যমন্ত্রীকে ফোনে জানান, তাঁর ভাই রাজমিস্ত্রির কাজ করত মাথাভাঙায়। হামিদুলের ৩ বছরের মেয়ে আছে। স্ত্রী আবারও গর্ভবতী। গোটা ঘটনায় দেশের আইনকানুনের দিকেই আঙুল তুলেছেন মৃতদের পরিবার ও আত্মীয়স্বজন। দোষীদের শাস্তি চেয়ে মমতার কাছে দরবার তাঁদের।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post