সম্প্রতি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন প্রযোজক, গায়ক, সঙ্গীত পরিচালক সর্বজিৎ ঘোষের পিতা রঞ্জিত ঘোষ। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, কিছুদিন আগেই বাইপাস সার্জারি হয়েছে তাঁর, এখন সুস্থই রয়েছেন তিনি।
রঞ্জিত ঘোষের অসুস্থতা এবং বাইপাস সার্জারি প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে তাঁর দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ড. অতনু সাহা জানিয়েছেন, ‘একটি হার্ট অ্যাটাক আগেই হয়ে গেছিল। তারপরে যথেষ্ট গুরুতর অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছিল রঞ্জিত ঘোষকে। পরীক্ষা করে জানা গিয়েছিল যে হৃদপিণ্ডে রীতিমত ব্লকেজ রয়েছে৷ বাইপাস সার্জারির পরে তিনি এখন সুস্থ রয়েছেন।’
কথাপ্রসঙ্গে উঠে আসে কোভিড পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের আপ্রাণ পরিশ্রমের কথা। চিকিৎসক অতনু সাহা জানান, তিনি নিজে প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধা না হলেও গোটা মহামারিকেই বড্ড কাছ থেকে দেখেছেন৷ কোভিড আবহে একাধিক চিকিৎসাকর্মী এমনকী তাঁর একজন জুনিয়রের মৃত্যুর প্রসঙ্গও উঠে আসে কথার মাঝে।
তবে আশাবাদী শোনায় ড. অতনু সাহাকে। তাঁর আশা, আমাদের প্রজন্মকে আরও একটা মহামারি দেখতে হবে না। তিনি গর্বিত যে মাত্র একবছরের মধ্যে বিজ্ঞান পেরেছে কোভিডের টিকা বানিয়ে ফেলতে৷ ভ্যাকসিন প্রস্তুত করার জন্য গবেষক, চিকিৎসক, চিকিৎসাকর্মী থেকে শুরু করে সরকারেরও প্রশংসা করেন।
সরকারের সর্বাঙ্গিক প্রশংসা করলেও তিনি এটা একবাক্যে স্বীকার করে নেন যে, এখনও ভারতের স্বাস্থ্যব্যবস্থা অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে৷ সরকার তাঁর সীমিত অর্থের পুঁজি নিয়ে চেষ্টা চালাচ্ছে ঠিকই তবে, প্রথম বিশ্বের যেকোনও দেশের চেয়ে আমরা এখনও পিছিয়ে৷ একইভাবে আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্যক্ষেত্রে উন্নতি করলেও এখনও আমরা দক্ষিণের রাজ্যগুলির চেয়ে পিছিয়ে৷
এই প্রসঙ্গে অতনু বলেন, ‘ দক্ষিণের চেয়ে আমরা পিছিয়ে ঠিকই তবে আমরা দ্রুত উন্নতি করছি। সরকারও যথেষ্ট তৎপর। প্রাথমিক ভাবে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে কিছু জটিলতা থাকলেও এর ফলে বহু মানুষ উপকৃত হচ্ছেন৷ বেসরকারি হাসপাতালগুলির বোর্ডের সঙ্গে সরকারের রফা হলে আর কোনও সমস্যাই থাকবে না এই বিষয়কে কেন্দ্র করে।’

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post