নিজস্ব চিত্র
আসানসোল: জামুড়িয়ার (Jamuria) সিপিএম প্রার্থী ঐশী ঘোষের (Aishe Ghosh) সভাতে ঢুকে ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান’ বিজেপি কর্মীদের (Bengal BJP)। সিপিএমের অভিযোগ, তাঁদের প্রার্থীর ওপর হামলার চেষ্টা করা হয়েছিল। ঘটনায় অভিযুক্ত বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে জামুরিয়ার নিউ সাতগ্রাম এলাকায় নির্বাচনী সভা ছিল ঐশী ঘোষের। অভিযোগ, সভা চলাকালীনই দশ বারো জন বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতী সভাস্থলে ঢুকে গোলমাল পাকায়। ঝান্ডা হাতে দিতে থাকে জয় শ্রী রাম নিনাদ। ঐশীর নাম নিয়েও স্লোগান দিতে থাকে তারা। তবে এসবের মধ্যে বক্তব্য থামাননি সিপিএম নেতারা। বাম সমর্থকরাও বিচলিত না হয়ে চেয়ার থেকে না উঠেই বক্তব্য শুনতে থাকেন। মিনিট পনেরো পর তারা নিজেরাই এলাকা ছাড়ে।
সিপিএমের বিস্ফোরক অভিযোগ, ঐশীকে প্রাণে মেরে ফেলতে চাইছে বিজেপি। ঐশীর নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনেও। সিপিএমের বক্তব্য, অনুমতি নিয়ে সভা করা হয়েছে। কমিশন ও পুলিশের কর্মী থাকা সত্ত্বেও কেউ এগিয়ে আসেননি বলে অভিযোগ তাঁদের।
আরও পড়ুন: বাংলা-সহ ৫ রাজ্যে রেকর্ড সংক্রমণ! উপায় খুঁজতে রাজ্যপালদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
ঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ঐশী TV9 বাংলাকে বলেন, “আমরা তো পুলিশের অনুমতি নিয়েই মিটিং করছিলাম। তখনই বেশ কয়েকজন ঢুকে যায়। বলে, আমরা পাকিস্তানের এজেন্ট। প্রথমবার নয়, এর আগেও বারবার হুমকি দেওয়া হয়েছে ঐশী ঘোষকে দেখে নেব বলে। আমরা ইসিকে জানিয়ে রেখেছিলাম। হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে আমাদের নাকি জয় শ্রী রাম স্লোগানে অসুবিধা। জয় শ্রী রাম বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার রাজনীতিকে আমরা নিন্দা করি।”
ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় তিন বিজেপি কর্মীকে। এদিকে দলীয় কর্মী গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিজেপির প্রার্থী তাপস রায়ের নেতৃত্বে বুধবার সকাল থেকে জামুড়িয়া থানা ঘেরাও করা হয়। তাঁদের পাল্টা দাবি, মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের কর্মীকে।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post