সুরশ্রী রায় চৌধুরী: যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে হাথরাসের ঘটনা ২০১২-র ১৬ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে চলন্ত বাসে নির্ভয়াকাণ্ডের যৌন নিগ্রহের শিকার প্যারামেডিকেল ছাত্রীর কথা মনে করিয়ে দেয়।উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে ১৯ বছরের মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়। চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দলিত মেয়েটির পরিবারের দাবি, তার জিভ কেটে দেওয়া হয়। ১৪ দিনের লড়াই শেষে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মেয়েটি মারা যায়।
প্যারামেডিকেল ছাত্রীর হয়ে মামলা লড়া আইনজীবী সীমা সমৃদ্ধি হাথরাসের মেয়েটির হয়েও সুবিচার চেয়ে আদালতে সওয়াল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। হাথরাসে পৌঁছে তিনি বলেছেন, শুরু থেকেই এই মামলা পর্যবেক্ষণ করেছি আমি। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি। সীমা সমৃদ্ধি হাথরাসের মেয়েটির হয়ে লড়বেন বিনা পয়সায়, ফি নেবেন না। ফোনে ইতিমধ্য়ে ওই পরিবারের সঙ্গে তাঁর কথাও হয়েছে। প্রসঙ্গত, নির্ভয়ার ধর্ষণকারীদের দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে ফাঁসির সাজা কার্যকর হয় গত ২০মার্চ। মুকেশ সিংহ, অক্ষয় সিংহ ঠাকুর, পবন কুমার গুপ্তা ও বিনয় কুমার শর্মাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। তিনি যেভাবে নির্ভয়ার অপরাধীদের সাজা সুনিশ্চিত করেছেন, সেভাবেই তিনিও হাথরসের ধর্ষণে অভিযুক্তদের বিচারের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়াতে পারেন বলে আশা করা হচ্ছে। নির্ভয়াকাণ্ড মামলায় গোড়া থেকেই নির্যাতিতার বাবা-মায়ের আইনজীবী ছিলেন সীমা। মামলার প্রতিটি তথ্য পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে পেশ করে জোর সওয়াল করেন তিনি। সীমা নির্ভয়া জ্য়োতি ট্রাস্টেরও আইনি পরামর্শদাতা। দেশের অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দিল্লি বিশ্লবিদ্য়ালয়ের ছাত্রী সীমা ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্টে ওকালতি শুরু করেন। ২০১৪-র ২৪ জানুয়ারি থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত তিনি ওই ট্রাস্টের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। প্রসঙ্গত, উন্নাওয়ের ধর্ষিতার মৃত্যুর পরও তিনি তাঁর হয়ে মামলা লড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। গত ১৪ ই সেপ্টেম্বর হাথরাসে ১৯ বছরের যুবতীর করুন পরিণতি এখন বিচারের অপেক্ষা।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post