আলিপুরদুয়ার: একে কোভিড পরিস্থিতি। তার উপর নির্বাচনী বিধি নিষেধের জেরে বন্ধ রক্তদান শিবির। আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে এখন চলছে রক্তসংকট। শুক্রবার কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে ডুয়ার্সকন্যায় বৈঠকের মাঝে হাসপাতাল সুপারের কাছে এই সমস্যার কথা শুনেছিলেন আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মীনা (Surendra Kumar Meena)। বৈঠক শেষ হওয়ার অপেক্ষা শুধু। তার পর নিজে হাসপাতালে ছুটলেন রক্তদান করতে।
আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের সুপার চিন্ময় বর্মন জানান, হাসপাতালে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ ইউনিট রক্ত লাগে। অথচ ব্লাড ব্যাঙ্কে রয়েছে মাত্র ১০-১২ ইউনিট রক্ত। এদিনের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে জেলা প্রশাসনের বৈঠকে এই বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন তিনি। তাঁর কথায়, “কোভিড নিয়ে বৈঠকের মাঝে জেলাশাসক কে বলেছিলাম, ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত অপর্যাপ্ত। একথা শুনে জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মীনা নিজেই রক্ত দিতে ছুটে এলেন!” তিনি যোগ করেন, হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের অভাব মেটাতে খোদ জেলাশাসক রক্ত দিচ্ছেন। জেলায় এটা অনন্য নজিরই বলা চলে। জেলাশাসকের এমন পদক্ষেপে মুগ্ধ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয়রা বলেন আলিপুরদুয়ারের বর্তমান জেলাশাসক একটু অন্যরকম। এলাকার উন্নয়নের কাজ তিনি মন দিয়ে করেন। সমস্যার কথাও মনযোগ সহকারে শোনেন। আবার স্থানীয় জনজাতির মানুষের পাশে বসে পাত পেড়ে খিচুড়িও খান। ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের প্রয়োজন শুনলে তক্ষুণি ছোটেন রক্তদান করতে।
আরও পড়ুন:রক্তদানের জন্য চালু নতুন নিয়ম, ব্লাড ব্যাঙ্কে বাড়তে পারে সংকট
বছর খানেক আগের ঘটনা। ঐতিহাসিক হুল দিস পালন করছে আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন। সেই অনুষ্ঠানের মঞ্চের পিছনে খিচুড়ি আর লাবড়ার মহাভোজের আয়োজন হয়েছিল। সেখানে আদিবাসী জনজাতির মানুষের পাশে বসে মধ্যাহ্নভোজ করতে দেখা যায় সুরেন্দ্র কুমার মীনাকে। জেলা শাসকের এমন কাজে তাজ্জব বনে যান সেই মানুষরা। স্থানীয়রা বলেন, এমন জেলাশাসক এর আগে আসেননি। আইএএস মীনা অবশ্য এসব প্রশস্তিতে বিশেষ ভেজেন না। তিনি শুধু নিজের কাজটুকু করে চলেন।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post